ইস্টার উপলক্ষে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষিত ৩০ ঘণ্টার ‘অস্ত্রবিরতি’ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলার খবর দিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। কিয়েভ ও দেশটির পূর্বাঞ্চলেও বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
কিয়েভ ছাড়াও পূর্বাঞ্চলীয় খেরসন, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, চেরকাসি, মাইকোলাইভ এবং জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলেও বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। বাসিন্দাদের ড্রোন হামলার আশঙ্কায় কাছের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসন স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪১ মিনিটে একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, আমরা শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে নিকটতম আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে এবং সতর্কতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে মেয়র ওলেক্সান্ডার সেনকেভিচ জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
রবিবার ইউক্রেনে কোনও বিমান হামলার সতর্কতা না থাকলেও, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার নিজস্ব যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রায় ৩ হাজারটি লঙ্ঘনের খবর দিয়েছে। এরমধ্যে ফ্রন্টলাইনের পোকরোভস্ক অংশে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ এবং গোলাবর্ষণ দেখা গেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষিত অস্ত্রবিরতির মেয়াদ রবিবার মধ্যরাতে (মস্কো সময়) শেষ হয়। উভয় পক্ষই এই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে একে অপরের বিরুদ্ধে।
কিয়েভ ও মস্কোর পক্ষ থেকে করা দাবিগুলোর কোনটিই স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছেন। রবিবার রাতে তিনি বলেন, আশা করি রাশিয়া ও ইউক্রেন এই সপ্তাহেই একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে। তবে তিনি এ বিষয়ে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।
রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এই যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই সামরিক সদস্য।