পোল্যান্ডের সীমান্ত রক্ষীরা এক ইউক্রেনীয় নারীকে গ্রেফতার করেছে। কাজাখস্তানে মানব অঙ্গ পাচারের অভিযোগে ১২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই নারী। মঙ্গলবার প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে ৫৬টি কিডনি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পোল্যান্ডের গোপনীয়তা আইনের কারণে ওই নারীর নাম কেবল ‘কসেনিয়া পি.’ বলে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসিকিউটর মার্তা পেটকোভস্কা জানান, ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তের এক রেলক্রসিংয়ে তাকে আটক করা হয়।
প্রসিকিউটরদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ইন্টারপোল তাকে খুঁজছিল। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যারা অবৈধভাবে মানব টিস্যু ও অঙ্গ সংগ্রহ করে কালোবাজারে বিক্রি করত।
অভিযোগে বলা হয়, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, ইউক্রেন, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও থাইল্যান্ডের ৫৬ জনের কিডনি আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
কসেনিয়া পি.-কে কাজাখস্তানে প্রত্যর্পণের জন্য পোল্যান্ডের আদালতে এক সপ্তাহের জন্য অস্থায়ী আটকাদেশের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। তবে তিনি কেন কাজাখস্তানে কারাবন্দি ছিলেন না, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।