অনাস্থা ভোটে পরাজয়ের পর পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করবেন তিনি। বুধবার অতি-ডানপন্থি ও কট্টর বামপন্থি আইনপ্রণেতারা তার সরকারের পতনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বার্নিয়ারের পদত্যাগের বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে রাজনৈতিক সংকটের গভীরে নিমজ্জিত করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ বার্নিয়ার পূএর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট আলোচক ছিলেন। স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় তার পদত্যাগ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে আধুনিক ফরাসি ইতিহাসে তিনিই হবেন সবচেয়ে কম সময় শাসন করা প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬২ সালে জর্জেস পম্পিডোর পর থেকে কোনও ফরাসি সরকার আস্থা ভোট হারেনি।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার কয়েক সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের এই রাজনৈতিক অস্থিরতা জার্মানির জোট সরকারের বিলুপ্তির পর ইতোমধ্যেই দুর্বল ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও দুর্বল করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পার্লামেন্টে চূড়ান্ত ভোট ছাড়াই জনপ্রিয় নয় এমন একটি বাজেটের অংশ পাস করার জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন বার্নিয়ার। সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থন ছাড়াই প্রাধানমন্ত্রীর এমন একক সিদ্ধান্ত কঠোর বাম ও অতি ডানপন্থিদের মধ্যে অনাস্থার জন্ম দেয়।ফলে শাস্তিসরূপ বুধবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টে বার্নিয়ারের বিরুদ্ধে অনা্স্থা প্রস্তাব পাস করেন আইনপ্রণেতারা।
খসড়া বাজেটে ঘাটতি কমাতে বিলটিতে ৬০ বিলিয়ন ইউরো (৬৩ দশমিক ০৭ বিলিয়ন) সঞ্চয় চাওয়া হয়েছিল।