রাশিয়ার কুরস্কে অঞ্চলে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইউক্রেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই আহ্বান জানানোর কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক মাসেরও বেশি সময় আগে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত অভিযান চলমান রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, কিয়েভ প্রায় ১০০টি জনপদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তারা দুটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। এর আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা তার মন্ত্রণালয়কে কুরস্ক অঞ্চলে জাতিসংঘ ও আইসিআরসিকে কাজ করার আমন্ত্রণ জানাতে নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে এই আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সিবিহা এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানান, সুমি অঞ্চল সফরের পর তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন। এই অঞ্চল থেকেই ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের অভিযান শুরু করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে মানবিক সহায়তা এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলের মানবিক পরিস্থিতি এবং মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে আইসিআরসি এবং জাতিসংঘকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া, ইউক্রেন আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসরণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিআরসি-কে অনুরোধ করেছে।
তবে জাতিসংঘ বা আইসিআরসি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিনি এই ধরনের বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন। পেসকভ স্পষ্ট করেছেন, মস্কো জাতিসংঘ ও আইসিআরসি’র কাছ থেকে এই আমন্ত্রণ গ্রহণের প্রত্যাশা করছে না।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ক্রেমলিনের এই প্রতিক্রিয়া তাদের নিজ দেশের মানবিক প্রয়োজনে অবহেলা এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কুরস্ক অঞ্চলের পরিস্থিতি দেখার ভয়কে প্রতিফলিত করে।
রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, আইসিআরসি’র প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক মস্কো সফরে এসেছেন এবং তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা করছেন।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে আইসিআরসি’র তিন ইউক্রেনীয় কর্মী নিহত এবং আরও দুইজন আহত হয়েছিলেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ডনেস্ক অঞ্চলের ফ্রন্টলাইনে ঘটে। আইসিআরসি’র প্রেসিডেন্ট স্পোলজারিক ওই হামলাগুলোর নিন্দা জানিয়েছিলেন।