বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, সীমান্তে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে ইউক্রেন। এর জবাবে বেলারুশ তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সেনা সীমান্তজুড়ে মোতায়েন করেছে। রবিবার (১৮ আগস্ট) বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেল্টা এই খবর জানিয়েছে।
তবে ঠিক কত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি লুকাশেঙ্কো। ২০২২ সালের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, বেলারুশের পেশাদার সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার এবং প্রায় ১২ হাজার সীমান্ত রক্ষী রয়েছে।
লুকাশেঙ্কো বলেন, তাদের (ইউক্রেনের) আক্রমণাত্মক নীতির কথা মাথায় রেখে, আমরা আমাদের সামরিক বাহিনীকে পুরো সীমান্তজুড়ে মোতায়েন করেছি। যুদ্ধ হলে প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করবে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন বলে বেল্টা জানিয়েছে।
কিয়েভ এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি। তবে শনিবার কিয়েভ জানিয়েছিল, বেলারুশের সেনাবাহিনী সীমান্তে কোনও উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বাড়ায়নি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র লুকাশেঙ্কো এমন সময় এই বক্তব্য দিলেন যখন ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ ভূখণ্ডে অভিযান চালাচ্ছে। ইউক্রেনীয় এই আক্রমণ রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিক্টর খ্রেনিন শুক্রবার বলেছিলেন, ইউক্রেন থেকে সশস্ত্র উসকানির আশঙ্কা রয়েছে এবং দুই দেশের সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে।
লুকাশেঙ্কো আরও জানান, বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে বিপুলসংখ্যক মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী যদি সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করে, তবে তাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
সূত্র: রয়টার্স