বেলারুশিয়ান সেনাদের সঙ্গে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মহড়ার দ্বিতীয় ধাপ শুরু করেছে রাশিয়া। এই ধাপে অস্ত্র মোতায়েনের অনুশীলন করবে উভয় দেশের সেনারা। মঙ্গলবার (১১ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমা শক্তির কাছ থেকে পাওয়া হুমকির মুখে এই মহড়া শুরু করেছে দেশ দুটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
রাশিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়ে বিশ্বকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। পশ্চিমা সরবরাহকৃত এই অস্ত্রের মধ্যে কিছু কিছু রুশ ভূখণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হাজার হাজার সেনা পাঠায় রাশিয়া। এর পর থেকে বারবার কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে পশ্চিমারা তার এমন মন্তব্যকে সামরিক হুমকি হিসেবে না নিয়ে বরং প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত মাসে পুতিনের নির্দেশে পারমাণবিক মহড়া চালায় রাশিয়া। তখন দেশটি বলেছিল, ‘রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং হুমকি’র মুখে এই মহড়া চালিয়েছে তারা।
মহড়ার প্রথম পর্যায়ে রুশ সেনারা ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রকে কীভাবে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ও মোতায়েন করতে হয় সে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এসময় কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে কীভাবে সজ্জিত করতে হয় সে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বিমান বাহিনী।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার ঘোষিত মহড়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে রুশ ও বেলারুশিয়ান ইউনিটের যৌথ প্রশিক্ষণে ‘যুদ্ধে অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার’ অনুশীলন করা হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ‘এই মহড়ার লক্ষ্য, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে যুদ্ধে রাশিয়া ও বেলারুশের অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউনিটের কর্মী ও সরঞ্জামগুলোকে সদা প্রস্তুত রাখা।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ফুটেজে, একটি ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থাকে একটি নিদিষ্ট স্থানে মোতায়েন করতে এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। এছাড়া, ভিডিওটিতে কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী মিগ-৩১ সুপারসনিক ইন্টারসেপ্টর এবং টুপোলেভ টিইউ-২২এমবি দূরপাল্লার সুপারসনিক বোমারু বিমানগুলোও দেখানো হয়েছে।