দীর্ঘদিনের বিক্ষোভ উপেক্ষা করে অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৪ তে উন্নীত করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দেশটির সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদন পাওয়ার পরপরই শনিবার (১৫ এপ্রিল) পেনশন ব্যবস্থার সংস্কারে নতুন এই আইন প্রণয়ন করেন তিনি।
ফ্রান্সের নয় সদস্যের সাংবিধানিক আদালত শুক্রবার ম্যাক্রোঁর এমন পরিকল্পনার অনুমোদন দেয়। সংস্কার পরিকল্পনাটির জেরে প্রায় এক মাস ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।
সাংবিধানিক আদালতের মতে, ফরাসি আইন মেনেই পরিকল্পনাটির অনুমোদন দিয়েছে তারা। তবে বড় কোম্পানিগুলোর ৫৫ বছরের উর্ধ্বে কর্মরত কর্মীর সংখ্যা প্রকাশ এবং প্রবীন কর্মীদের জন্য বিশেষ আইন প্রণয়নসহ পেনশন সংস্কারে সরকারের ৬টি প্রস্তাবনা বাতিল করেছে আদালত।
রায় ঘোষণার পর দেশটির কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন নেতারা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে ঘিরে (১ মে) গণবিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্যদের ভোট ছাড়াই এমন একটি আইন প্রণয়ণ করায় বিক্ষোভে নেমেছেন দেশটির অনেক ভোটার। বিতর্কিত বিলটিতে সংসদ সদস্যদের ভোট দেওয়ার মাত্র কয়েক মিনিট আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আসলে সরকার বুঝতে পেরেছিল, ভোট হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। তাই যেভাবেই হোক পেনশনের নিয়ম সংস্কার করতে চেয়েছিল সরকার।
এদিকে প্যারিসের সিটি হলের সামনে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তাদের মধ্যে ৬১ বছরের লাইব্রেরিয়ান বিয়া বলেন, ‘এটি কলঙ্কজনক। এখানে গণতন্ত্র কোথায়?’
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের অগ্রসর হতে বাধা দেওয়ায় দেশটির রাজধানীতে বাইক, ই-স্কুটার ও রাস্তার পাশের আবর্জনা জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। লিওন শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া মার্সেই, টুলুজসহ বেশ কয়েকটি শহরে সহিংস রূপ নিয়েছে বিক্ষোভ। পশ্চিমাঞ্চলীয় রেনেস শহরের একটি পুলিশ স্টেশনের প্রবেশপথ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ফ্রান্সজুড়ে ১১২ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্র: এএফপি