চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামী মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই দেশগুলো এখনো যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল প্রবাহ রোধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা অভিবাসন সমস্যা বেশ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে ফেন্টানিলের কারণে মৃত্যু নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জানায়, ২০২৩ সালে ৭২ হাজার ৭৭৬ জন মার্কিন নাগরিক ফেন্টানিলের কারণে মারা গেছেন।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন কাস্টমস ও বর্ডার পেট্রোল এজেন্টরা চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ৯৯১ পাউন্ড ফেন্টানিল জব্দ করেছে। যদিও এটি গত বছরের তুলনায় ৫০.৫ শতাংশ কম, তবুও এটি কয়েক মিলিয়ন আমেরিকানকে হত্যার জন্য যথেষ্ট।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চীনের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছিল। নতুন এই শুল্ক সেই করের ওপরে যোগ হবে, যা বেইজিংয়ের জন্য বাণিজ্যিক চাপ আরও বাড়াবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন-চীন সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে এবং বাণিজ্যযুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নতুন এই শুল্ক ঘোষণা চীনের বার্ষিক সংসদীয় বৈঠক শুরুর ঠিক আগে আসলো, যেখানে দেশটির ২০২৫ সালের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা উন্মোচন করার কথা রয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, ফেন্টানিল ইস্যুকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের হুমকি দিচ্ছেন। চীনের মাদক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেছেন, ট্রাম্পের যোগাযোগের নিজস্ব ধরন আছে। তবে আমরা আশা করি ৪ মার্চের আগে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি, তবে যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবো।