কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ। আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
পত্রিকাটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, পাকিস্তান ‘যেকোনও আন্তর্জাতিক তদন্তের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত’ যা আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের দ্বারা পরিচালিত হবে।
ঘটনাটির পর থেকে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত সিন্ধু নদীর পানিচুক্তি স্থগিত করেছে। পাকিস্তান ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে খাজা আসিফ বলেন, পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করতে এবং ঘরোয়া রাজনৈতিক লাভের জন্য এই হামলাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।
তিনি আরও বলেন, ভারত ‘কোনও প্রমাণ ছাড়া, কোনও তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
খাজা আসিফ আরও বলেন, ‘আমরা এ যুদ্ধকে আরও উসকে দিতে চাই না। কারণ, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে এ অঞ্চলের জন্য তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
ওই হামলাকে ২০০০ সালের পর কাশ্মীর অঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ সশস্ত্র হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কম পরিচিত সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
হামলাকারীদের আন্তঃসীমান্ত যোগসূত্র রয়েছে বলে ভারত অভিযোগ তুলেছে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগকে জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
ভারতের অভিযোগের জবাবে আসিফ বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবা (এলইটি) এখন ‘অকার্যকর’ এবং পাকিস্তান থেকে কোনও হামলা চালানোর সক্ষমতা তাদের নেই।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা পাকিস্তানে কোনও সংগঠন বা কাঠামো চালায় না। যারা রয়ে গেছে, তারা গৃহবন্দী বা হেফাজতে আছে। তারা একেবারেই সক্রিয় নয়
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া বক্তব্যে আসিফ দাবি করেন, ‘হামলাটি হয়ত ভারতেরই একটি ‘ছদ্মবেশী’ অভিযান।