পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সম্পর্ক অবনতির দিকে যাওয়ার মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২৫ এপ্রিল) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দুই দেশের সেনাবাহিনী গুলিবিনিময় করেছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখার একাধিক পয়েন্টে পাকিস্তানি বাহিনীর সেনা চৌকি থেকে ‘উসকানিমূলক’ হালকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। জবাবে পাল্টা গুলি ছোড়ে ভারতীয় বাহিনী।
৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নিয়ন্ত্রণরেখা দুই দেশের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে।
সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেও পাকিস্তানি সেনারা বিচ্ছিন্নভাবে গুলি চালিয়েছিল। তবে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনও মন্তব্য আসেনি।
কাশ্মির পুলিশের বরাতে জানা গেছে, ২২ এপ্রিলের ওই হামলায় তিনজন সন্দেহভাজনের নাম চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক। পাকিস্তান এই হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এছাড়া তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি বণ্টন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
কাশ্মীর অঞ্চলটি দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। ফলে কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকলেও মাঝেমধ্যেই সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে থাকে। এই অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে।