ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ ৪৬ শতাংশ বেশি মূল্যের ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ পণ্য পাঠিয়েছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুন থেকে বাংলাদেশকে রফতানির ক্ষেত্রে এই সুবিধা দিয়ে আসছিল ভারত। তবে সম্প্রতি ওই সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৮ এপ্রিল ভারত সরকার ওই সিদ্ধান্ত নেয়।
পিটিআই জানিয়েছে, গত ৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ থেকে কোনও ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ পণ্য পেট্রাপোল হয়ে প্রবেশ করেনি। তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্বাভাবিকই রয়েছে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিটিআই জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবর্ষে পেট্রাপোল হয়ে তৃতীয় দেশের রফতানির জন্য বাংলাদেশি পণ্য আগের তুলনায় বেশি প্রবেশ করেছে।
ওই সংগঠনের ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সংক্রান্ত তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পেট্রাপোল হয়ে ৩ হাজার ৪৭৩টি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করেছিল। মোট পণ্যের মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ২ হাজার ৩৫৭ কোটি ২৭ লাখ রুপি। গত অর্থবর্ষে ভারতে প্রবেশ করেছিল ৪ হাজার ৮৬১টি ট্রাক। তাতে মোট ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৬ লাখ রুপির পণ্য এ দেশে আসে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য আসা ট্রাকের সংখ্যা ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রফতানি পণ্যের মূল্যের দিক থেকেও তা প্রায় ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পিটিআই আরও জানিয়েছে, ভারত সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের পরে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে তৃতীয় দেশে রফতানির জন্য আসা চারটি ট্রাককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।