তাইওয়ানের চারপাশে চীনা সামরিক কার্যকলাপে অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে তাইপে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫৩টি সামরিক বিমান এতে অংশ নিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
এ বিষয়ে চীনের সামরিক বাহিনী এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। এমনকি তারা যে কোনও সামরিক মহড়া চালাচ্ছে সেটিও নিশ্চিত করেনি।
স্বায়্ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। শুক্রবার তাইপে প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে-এর শেষ হওয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় সফর উপলক্ষ্যে ক্ষোভ প্রকাশের জন্য চীন মহড়া শুরু করবে বলে আশা করা হয়েছিল। এই সফরে লাই হাওয়াই ও মার্কিন অঞ্চল গুয়ামের যাত্রাবিরতি করেছিলেন।
মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রায় তিন দশকের মধ্যে আঞ্চলিক জলসীমায় বৃহত্তম নৌ-বহর মোতায়েন করছে চীন যেটি তাইওয়ানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, পূর্ব চীন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নৌ মোতায়েন উন্নত হলেও তা অতীতের অন্যান্য বড় মহড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টা ধরে দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে ৫৩টি সামরিক বিমানের চলাচল শসাক্ত করেছে। একইসঙ্গে ১১টি নৌবাহিনীর জাহাজ ও ৮টি ‘অফিসিয়াল’ জাহাজ শনাক্ত করেছে। অফিশিয়াল জাহাজ বলতে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর মতো বেসামরিক সংস্থার জাহাজগুলোকে বোঝায়।
চীন আকাশসীমা সংরক্ষিত করেছে এবং নৌ ও উপকূলরক্ষী জাহাজ মোতায়েন করেছে বলে সোমবার সতর্কতা জারি করেছিল তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী।
লাই ও তার সরকার বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, শুধু তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।
চীন বলেছে তাইওয়ান ইস্যুটি ‘এর মূল স্বার্থ’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের রেড লাইন অতিক্রম করা উচিত নয়।
চলতি বছর এ পর্যন্ত তাইওয়ানের চারপাশে দুটি বড় যুদ্ধ মহড়া করেছে চীন।