ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় নির্বাচনি প্রচারাভিযান চলাকালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের মুখে পড়েন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) অনুমতির জন্য অপেক্ষায় থাকা তার হেলিকপ্টার ৪৫ মিনিট পর উড্ডয়নের অনুমতি পায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার চূড়ান্ত পর্যায়ের নির্বাচনি প্রচার জোরেশোরে চলছে। কংগ্রেস দাবি করেছে, রাহুল গান্ধীর প্রচারাভিযান ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে এটিসির এই পদক্ষেপ ছিল একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। দলটির নেতারা অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমাবেশকে অগ্রাধিকার দিতে রাহুল গান্ধীর চলাচল বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।
কংগ্রেস বিধায়ক ও মহাগামা আসনের প্রার্থী দীপিকা পাণ্ডে সিং বলেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী দেওঘরে আছেন বলে রাহুল গান্ধীকে সেই এলাকা অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রটোকল আমরা বুঝি। কিন্তু কংগ্রেস ৭০ বছর দেশ শাসন করেছে, এমন ঘটনা কোনও বিরোধী নেতার সঙ্গে আগে কখনও হয়নি। এটি মেনে নেওয়া যায় না।
এর আগে, বিজেপিকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, দলটি পশ্চাদপদ শ্রেণির মানুষদের প্রতি উদাসীন। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি পশ্চাদপদ শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৪ শতাংশ করেছে। একদিকে নরেন্দ্র মোদি বলেন তিনি পশ্চাদপদ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে তারা সংরক্ষণ কমিয়ে দেয়, জমি ছিনিয়ে নেয় এবং নোট বাতিলের মাধ্যমে বেকারত্ব সৃষ্টি করে।
প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে দেওঘর বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উড়োজাহাজেও একটি কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে তার দিল্লি ফেরা বিলম্বিত হয়। সন্ধ্যায় দিল্লিতে সাই ইন্দিরা গান্ধী স্পোর্টস কমপ্লেক্সে একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তার।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে ১৪ নভেম্বর। ওই দিন রাজ্যের ৮১টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে ভোট হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে ২৩ নভেম্বর।