তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন অস্ত্র চুক্তির নিন্দা জানানোর পরই দ্বীপরাষ্ট্রটির কাছে আবারও ‘যুদ্ধ মহড়া’ চালালো চীন। রবিবার (২৭ অক্টোবর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণায়টি বলেছে, চীনের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজগুলো দ্বীপের কাছে আরও একটি যৌথ ‘যুদ্ধ মহড়া’ চালিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির একটি প্যাকেজের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরই চীনের এই যুদ্ধ মহড়ার খবরটি এলো।
আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের না থাকা সত্ত্বেও তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করতে একটি আইনের মাধ্যমে আবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। যদিও দেশটির এমন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটি।
পেন্টাগন শুক্রবার জানিয়েছে, তাইওয়ানের কাছে ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির একটি প্যাকেজ অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে যুদ্ধে পরীক্ষিত একটি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থাও রয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে তাইওয়ানের চারপাশে একটি ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি মহড়া’ শুরু করে চীন। এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমানসহ ১০টি চীনা সামরিক বিমান সনাক্ত করেছে তাইওয়ান।
চীনা বিমানটি তাইওয়ানের উত্তর, কেন্দ্র, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পূর্ব আকাশসীমায় উড়েছিল এবং তখনই তাইওয়ানের বাহিনীকে নজরদারি করার জন্য পাঠানো হয়েছিল।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রদি মাসে কয়েকবার তাইওয়ানের চারপাশে এই ধরণের মহড়া চালায় চীন। তবে চলতি মাসে দ্বীপের কাছে বেইজিং একটি নতুন রাউন্ডের পূর্ণ যুদ্ধ মহড়ার আয়োজন করার পর দ্বীপের কাছে এটিই প্রথম মহড়া।
শনিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অস্ত্র বিক্রির তীব্র নিন্দা ও দৃঢ় বিরোধিতা করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে তাইওয়ানকে অস্ত্র দেওয়া এবং তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে চীন।