আফগানিস্তানে ৫০ জোড়া বর-কনেকে নিয়ে এক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রচলিত বিয়ের উচ্চ ব্যয় এড়াতে নিম্ন আয়ের দম্পতিদের এমন আয়োজন এখন স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার এই গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে বরদের চোখের আড়ালে আলাদা একটি অংশে রাখা হয়। মধ্যাহ্ন ভোজের পর তারা হাজির হন।
কাবুলে এই গণবিয়ের আয়োজন করেছে একটি দাতব্য সংস্থা। নববিবাহিত দম্পতিদের সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিবাহিত জীবন শুরু করার জন্য কার্পেট ও ঘরের আসবাবপত্র উপহার দেওয়া হয়েছে।
অনাড়ম্বরপূর্ণ বিয়ের আয়োজনে তালেবান সরকারের পুণ্যের প্রচার ও পাপ দমন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর তালেবান নাচ ও গান নিষিদ্ধ করেছে।
পরে বর ও কনেদের সবুজ রিবন ও হৃদয় আকৃতির প্লাস্টিকের গোলাপে মোড়া প্রাইভেটকারে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৮ বছর বয়সী রুহুল্লা রেজায়ি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, একা বিয়ের ব্যয় বহনের সামর্থ্য তার ছিল না। প্রচলিত বিয়ের আয়োজনে দুই থেকে আড়াই লাখ আফগানি (২ থেকে ৪ হাজার ডলার) ব্যয় হয়। কিন্তু এবার ব্যয় হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার আফগানি।
এই তরুণ ঘর প্রদেশের হাজারা নামের শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। দিনমজুরি করে দিনে ৩৫০ আফগানি রোজগার করেন তিনি।
রুহুল্লা বলেন, আমাদের দুটি পরিবারের ৩৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অন্যথায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে দাওয়াত দিতে হতো।
কয়েকজন বরকে এই দিনের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। কাবুল প্রদেশের ২৩ বছর বয়সী কৃষক সামিউল্লাহ জামানি বলেন, এই দিনের জন্য আমাকে তিন বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। তাকে দেখার জন্য আমার আর তর সইছে না।