ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজে তারা এই আলোচনা করেন। যুদ্ধ সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে উভয় নেতার মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক মাস আগে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ম্যাক্রোঁই প্রথম ইউরোপীয় নেতা, যিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি সকালে হোয়াইট হাউজে এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের একটি সেশনে অংশ নেন, যেখানে উভয় নেতা ইউক্রেন নিয়ে অন্যান্য জি৭ নেতাদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
হোয়াইট হাউজ থেকে ব্লেয়ার হাউজ গেস্ট রেসিডেন্সে ফেরার পথে ম্যাক্রোঁ বলেন, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা খুব ভালো ও খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা ওভাল অফিসে জি৭-এর নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছি।
দুই নেতা পরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন এবং পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ২টায় একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই সপ্তাহের শেষের দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠ করবেন। ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান এবং তিন বছরের সংঘাতে মস্কোর প্রতি তার আগ্রহ নিয়ে ইউরোপে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ম্যাক্রোঁ ও স্টারমার ট্রাম্পকে যেকোনও মূল্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে না বলার এবং ইউরোপকে সম্পৃক্ত রাখার পাশাপাশি ইউক্রেনকে সামরিক নিশ্চয়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের সঙ্গে একটি রাজস্ব-বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। যা রাশিয়াকে প্রতিহত করতে আগের বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক কিয়েভে অস্ত্র হিসেবে যে অর্থ পাঠিয়েছিল, তার কিছু অংশ ফেরত পেতে। ট্রাম্প গত সপ্তাহান্তে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে শিগগিরই একটি চুক্তি হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বুধবার যুদ্ধকালীন সহায়তার জন্য ওয়াশিংটনের কাছে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এই পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করেনি এবং চুক্তিতে কোনও নির্দিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়নি।
ম্যাক্রোঁ তাদের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল মেয়াদে গড়ে ওঠা সম্পর্কের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, একটি খারাপ চুক্তিতে সম্মত হওয়া ইউক্রেনের আত্মসমর্পণের সমান হবে এবং চীন ও ইরানের মতো যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের দুর্বলতার ইঙ্গিত দেবে।