মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে পুনরায় নির্বাচিত হলেন দুই মুসলিম নারী। তারা হলেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব ও সোমালীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ইলহান উমর। কংগ্রেসের প্রথম ফিলিস্তিনি ও শরণার্থী মুসলিম নারী হিসেবে তারা এতদিন দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডিয়ারবর্ন শহরের আরব-আমেরিকান কমিউনিটির ব্যাপক সমর্থন নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হলেন রাশিদা।
অপরদিকে, টানা তৃতীয়বারের মতো মিনেসোটার ৫ম ডিসট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত হলেন ইলহান।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার কঠোর সমালোচক রাশিদা। সম্প্রতি ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে তার অবস্থানের জন্য সমর্থন দিতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি।
ইলহানও গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের একজন কড়া সমালোচক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা একটি পোস্টে জয়ের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইলহান। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমরা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭১৬টি দরজায় কড়া নেড়েছি। আমরা ১ লাখ ৮ হাজার ২২৬টি ফোনকল করেছি এবং ১ লাখ ৪৭ হাজর ৩২৩টি বার্তা পাঠিয়েছি। এই বিজয় যারা সুন্দর ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় আস্থা রেখেছে তাদের সবার।’
ইলহান ও রাশিদা উভয়েই ডেমোক্র্যাট পার্টির তথাকথিত প্রগতিশীল গ্রুপ ‘দ্য স্কোয়াড’ এর সদস্য। এই গ্রুপে জামাল ব্যোম্যান, অ্যালেক্সেন্ড্রা ওকাসিও-কোর্টেজসহ আরও অনেকেই রয়েছে।
তবে এই গ্রুপ থেকে ইলহান ও রাশিদা নির্বাচিত হলেও গ্রুপের অপর দুই সদস্য জামাল ব্যোম্যান ও কোরি বুশ নিজ নিজ দলের প্রাথমিক নির্বাচনেই পরাজিত হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ইসরায়েলপন্থি সংগঠন আমেরিকান-ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ( এআইপিএসি)-এর সদস্য। সংগঠনটি মার্কিন নির্বাচনে ফিলিস্তিনপন্থিদের অবদমনে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।