X
বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১

মালির শান্তিরক্ষীদের দ্রুত তুলে নিচ্ছে জাতিসংঘ, বাড়ছে উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৮আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৩২

ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে সংঘাত কবলিত আফ্রিকার দেশ মালির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশটির উত্তরের ‘বের’ শহরের পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে নিয়োজিত শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহার আরও ত্বরান্বিত করেছে জাতিসংঘ। এতে উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।

কারণ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মিনুসমা (MINUSMA) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতিতে শান্তিরক্ষা সদস্যদের দ্রুত তুলে নেওয়া হচ্ছে।

বাহিনীটি টুইটারে আরও জানায়, ‘ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির কারণে প্রত্যাহারের পূর্বের শিডিউল এগিয়ে এনেছে মিনুসমা।’

শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম শেষ করার সময় বিবদমান পক্ষগুলোকে যেকোনও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

তবে মালির একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ‘কোনও ঘটনা ছাড়াই জাতিসংঘ তাদের মিশন শেষ করে চলে যাচ্ছে।’

সম্প্রতি মালির বাহিনী ও রাশিয়ার সশস্ত্র ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে তুয়ারেগের নেতৃত্বাধীন উত্তর বিদ্রোহীরা। তাদের অভিযোগ, বার শহরের কাছে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সেনা এবং ওয়াগনার। যদিও মালির সেনাবাহিনী তাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেনি। তবে ওই শহরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে ছয় সেনা নিহতের দাবি করেছে তারা।

সিএমএ’র মুখপাত্র মোহাম্মদ এলমাউলউদ রামাদান বলেছেন, রবিবার (১৩ আগস্ট) বিদ্রোহী ও মালির সেনাদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত ছিল। সিএমএ মালি থেকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মালির উত্তরাঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে।

মিনুসমা’র বর্তমানে ১১ হাজারের বেশি সেনা ও পুলিশের দেড় হাজার সদস্য রয়েছে। দশক পুরনো মিশনটি জিহাদি সহিংসতার বিস্তার বন্ধে ব্যর্থ। তাদের বদলে রাশিয়ান ওয়াগনার ভাড়াটেরা এখন মালির সামরিক শাসকদের সহায়তা করছে।

পশ্চিমারা ওয়াগনারকে ইউক্রেন এবং আফ্রিকার কিছু অংশে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে। মালিতে ওয়াগনারের শীর্ষ কর্মকর্তা ইভান মাসলভের ওপর চলতি বছর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: আল জাজিরা

/এলকে/
সম্পর্কিত
মার্কিন অস্ত্র রফতানি বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প
ধর্মীয় রক্ষণশীলতার উত্থাননতুন বাংলাদেশে সুযোগ দেখছে মৌলবাদীরা: নিউ ইয়র্ক টাইমস
বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা নিহত
সর্বশেষ খবর
আন্দোলনে ফিরবেন বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা
আন্দোলনে ফিরবেন বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা
লালমনিরহাটে ম্যুরাল ভাঙার প্রতিবাদে ডিসির অপসারণ চেয়ে সিপিবির মানববন্ধন
লালমনিরহাটে ম্যুরাল ভাঙার প্রতিবাদে ডিসির অপসারণ চেয়ে সিপিবির মানববন্ধন
মার্কিন অস্ত্র রফতানি বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প
মার্কিন অস্ত্র রফতানি বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প
‘অনেক ভুল’ করে ফাইনালে রিয়াল
‘অনেক ভুল’ করে ফাইনালে রিয়াল
সর্বাধিক পঠিত
ধর্ষণের অভিযোগে আটকের পর থানা হাজতে ‘আত্মহত্যা’
ধর্ষণের অভিযোগে আটকের পর থানা হাজতে ‘আত্মহত্যা’
ঈদের দিন রাতে ডাকাতি শেষে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
ঈদের দিন রাতে ডাকাতি শেষে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
আজ সেই ‘ইত্যাদি’
আজ সেই ‘ইত্যাদি’
দুই দিনে কতো আয় করলো ‘সিকান্দার’?
দুই দিনে কতো আয় করলো ‘সিকান্দার’?
এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা অনুভূত হবে বেশি
এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা অনুভূত হবে বেশি