গত রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কিছু দেশের সমালোচনা করে বলেছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো কূটনৈতিক রীতি ভঙ্গ করেছে। সরাসরি দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো দুর্নীতি দমন ও দায়িদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট রামাফোসাকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণেরও আহ্বান জানিয়েছিল তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, এসব দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড।
সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যৌথভাবে প্রিটোরিয়ায় অবস্থিত তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রামাফোসার দফতরে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠিতে তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছিল, দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে দেশটিতে থাকে বিদেশি বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। সেই সাথে অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও শাস্তি নিশ্চিতের ওপর জোর দেন তারা।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ ছিল কৃষ্ণাঙ্গদের কর্মসংস্থানের নীতি ঘনঘন পরিবর্তন করার বিষয়েও। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন’ (ডিআইআরসিও) মন্তব্য করেছে ‘পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পাঠানো চিঠির ব্যাপারে আমরা হতাশ। এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ। আন্তর্জাতিক পরিসরে যে ধরনের কূটনৈতিক রীতিনীতি মেনে চলা হয়, দূতাবাসগুলোর উচিত ছিল সেই অনুযায়ী একটি নোট ভারবালের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা। আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে আমাদের গণতান্ত্রিক দেশের সবগুলো শাখা যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছে।’