X
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২

অর্থনীতির প্রশ্নে ট্রাম্পে হতাশ মার্কিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫

বড় আশা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিলেন মার্কিনিরা। তাদের বিশ্বাস ছিল, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করে তুলবেন তিনি। তবে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার প্রথম ১০০ দিন ঘনিয়ে আসতে আসতে ট্রাম্পের জনসমর্থনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন অর্থনীতি সামলানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট কেবল ৩৭ শতাংশ মানুষ। অথচ ক্ষমতায় আসার কয়েকঘণ্টা পর, কেবল মার্কিন অর্থনীতির সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেই ৪২ শতাংশ মানুষের সমর্থন আদায় করেছিলেন ট্রাম্প।

মার্কিন চিন্তক সংস্থা, আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন জ্যেষ্ঠ ফেলো জেমস পেথোকুকিস বলেছেন, আমরা একজন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছি, যিনি সোনালি সময়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। অথচ যা থাকার কথা ছিল ওপর তা এখন নিম্নগামী, আর যে সূচক থাকা দরকার নিচে তা এখন ঊর্ধ্বগামী।

দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই আগ্রাসী অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করেন ট্রাম্প। নতুন নীতির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অংশীদারদের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে এবং সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিজের ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করে দেশের শেয়ার বাজারে একটা লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরি করেন তিনি। শেয়ারবাজারে সূচক এতোটা নিম্নগামী শেষ দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছর আগে কোভিড মহামারির সময়।

অবশ্য, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় শুল্কনীতিতে ট্রাম্প কিছুটা পিছু হটলেও, অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক হতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করেন পেথোকুকিস।

ট্রাম্পের অভিষেকের পরই আয়োজিত এক জরিপে প্রায় ৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিনের প্রধান অগ্রাধিকার উচিত মুদ্রাস্ফীতি বা সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতি। আর ট্রাম্পের নিজের পছন্দের অভিবাসন ইস্যুর স্বপক্ষে মত দিয়েছিলেন মাত্র ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

সাম্প্রতিক জরিপে তিন-চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি মন্দার দিকে যাচ্ছে। আর ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত এলোমেলো।

অংশগ্রহণকারীদের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ কী। এটা যাচাইয়ের জন্য বক্তব্য রাখা হয়, 'ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের কারণে অবসর জীবনে আমার ভোগান্তি হবে'- এর সঙ্গে একমত হয়েছেন ৫২ শতাংশ মানুষ এবং দ্বিমত পোষণ করেছেন ৩১ শতাংশ।

এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার আমলে যে গড় সমর্থন পেয়েছেন, এখনও তার চেয়ে কিছু বেশি সমর্থন রয়েছে ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সামগ্রিক জনসমর্থন এখন রয়েছে ৪২ শতাংশ। এই সমর্থকদের অধিকাংশই, অন্তত ৪৫ শতাংশ মানুষ, ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসী নীতির ভক্ত।

/এসকে/
সম্পর্কিত
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলাভারতের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় প্রস্তুত পাকিস্তান
তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন পাকিস্তানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী: সামা টিভি
কাশ্মীরে হামলাকারী টিআরএফ সম্পর্কে যা জানা গেলো
সর্বশেষ খবর
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
ভারতের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় প্রস্তুত পাকিস্তান
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলাভারতের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় প্রস্তুত পাকিস্তান
স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে ফোন করে লাশ নিয়ে যেতে বললেন স্বামী
স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে ফোন করে লাশ নিয়ে যেতে বললেন স্বামী
প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি
প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি
সর্বাধিক পঠিত
জোর করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হলো
জোর করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হলো
কালচে বগলের সমস্যা যেভাবে দূর করবেন
কালচে বগলের সমস্যা যেভাবে দূর করবেন
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে লাভ ১২ টাকা?
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে লাভ ১২ টাকা?
পরিবারসহ বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক সাফিনুলের ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
পরিবারসহ বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক সাফিনুলের ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
ক্যামেরায় ধরা পড়লো শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামিকে গুলি ও কোপানোর দৃশ্য
ক্যামেরায় ধরা পড়লো শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামিকে গুলি ও কোপানোর দৃশ্য