সম্প্রতি অস্ত্র রফতানির বিধিনিষেধ শিথিল করতে আদেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রবিবার (২০ এপ্রিল) উত্তর কোরিয়া বলেছে, যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র দু নৌকায় পা রেখে চলতে চাইছে। তারা একদিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সংকট সমাধানে আলোচনা এবং সমঝোতার পরামর্শ দিয়ে চলেছে। অন্যদিকে তারাই আবার ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের সবরকম অস্ত্র বিলিয়ে যাচ্ছে। এতে যুদ্ধবাজদের মধ্যে যুদ্ধ প্রলম্বিত করার উৎসাহ সৃষ্টি হবে।
হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই মস্কো ও কিয়েভের ওপর যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন ট্রাম্প।
একদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজসম্পদ চুক্তি করছেন অন্যদিকে রাশিয়াকে হুমকি দিয়েছেন, যুদ্ধ অবসানে গড়িমসি করলে তাদেরকেও শায়েস্তা করা হবে। অথচ এরই মধ্যে গত ৯ এপ্রিল তিনি মার্কিন অস্ত্র রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
কেসিএনএতে প্রকাশিত সমালোচনামূলক বক্তব্যটি কারও নামে প্রকাশিত হয়নি। সাধারণত সরকারি মহলের কোনও শীর্ষ কর্মকর্তা বা সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে উদ্ধৃত করে প্রতিপক্ষ কোনও দেশের সমালোচনা করে থাকে কেসিএনএ।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা সেনা ও সরঞ্জাম দিয়ে মস্কোকে সহায়তা করছে। পিয়ংইয়ং সরাসরি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান না করলেও তা স্বাভাবিকভাবেই স্বীকারও করেনি।