পাকিস্তানে বসবাসরত ৮০ হাজারের বেশি আফগান নাগরিককে ফেরত দিয়েছে দেশটির সরকার। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, অবৈধভাবে পাকিস্তানে অবস্থানকারীদের প্রত্যাবাসন উদ্যোগের আওতায় এই প্রক্রিয়া চলমান আছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তালাল চৌধুরি বলেছেন, কেবল যেসব আফগান নাগরিকের বৈধ কাগজপত্র আছে, তারাই পাকিস্তানে অবস্থান করতে পারবেন। বাকিরা হয় নিজ গরজে ফেরত যাবেন, নয়তো সরকার পক্ষ বিতাড়ন করবে। এ কাজে সময়সীমা চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তোরখাম সীমান্ত দিয়ে অবৈধ আফগানিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তার আগ পর্যন্ত বহিষ্কারের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের বিভিন্ন শহরে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছে।
ইসলামাবাদ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যেসব আফগান অবস্থান করছেন, ৩১ মার্চের মধ্যে তারা স্বেচ্ছায় দেশে চলে যেতে হবে। পরে এই সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে চালু হওয়া অবৈধ বিদেশি প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি চলমান আছে।
আফগানদের প্রত্যাবাসনের সমালোচনা করে দেশটি বলেছে, আসলে জোরপূর্বক তাদের বের করে দিচ্ছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানে বৃহত্তম অভিবাসী গোষ্ঠী হচ্ছে আফগানরা। দেশটিতে সময়ে সময়ে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা ও বিভিন্ন অপরাধের জন্য এই অভিবাসীদের দায়ী করেছে ইসলামাবাদ। তবে আফগানিস্তান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের জন্য চলতি সপ্তাহে কাবুল সফর করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইছহাক দার। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনায় দুই দেশের নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সংযোগ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।