যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৌশলগত বিমানঘাঁটি ও নৌ-বন্দরের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে তৈরি আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রস্তাব দিয়েছেন সোমালি প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স শুক্রবার (২৮ মার্চ) চিঠিটি যাচাই করে এই খবর জানিয়েছে।
চিঠিটি মূলত লেখা হয়েছিল চলতি মাসের ১৬ তারিখ। এতে বলা হয়েছে, বালিডোগলে বিমানঘাঁটি, বোসাসোর নৌ-বন্দর এবং বেরবেরার নৌ-বন্দর ও বিমানঘাঁটি এলাকা হচ্ছে কৌশলগত সম্পদ। এখানে অবস্থান নিলে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে এবং নিরবচ্ছিন্ন সামরিক অ্যাক্সেস নিশ্চিত হবে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই করিডরে প্রতিপক্ষের উপস্থিতি প্রতিহত করা যাবে।
এই প্রস্তাব গ্রহণ করলে হর্ন অব আফ্রিকাতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরালো হবে। এতে সোমালিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রতিহত করতে মার্কিন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তাদের জন্য কিছুটা সহজ হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ করে সাড়া পায়নি রয়টার্স।
তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে প্রতিবেশী সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়বে সোমালিয়া। কেননা প্রস্তাবিত বেরবেরা মূলত সোমালিল্যান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি অঞ্চল।
উল্লেখ্য, সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোরবিরোধী সোমালিয়া।
সোমালিয়ার প্রস্তাবের খবর স্বভাবতই ক্ষুব্ধ করেছে সোমালিল্যান্ডকে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদিরাহমান দাহির আদেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সোমালিয়ার আবার কীসের সহযোগিতা! সোমালিয়া নামের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশকে মার্কিন প্রশাসন বহু আগেই ত্যাগ করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা প্রমাণ করেছি, সোমালিয়া একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ। ওয়াশিংটন এখন থেকে সোমালিয়া নয়, বরং আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে আগ্রহী। তারা জানে, বেরবেরা বন্দর নিয়ে কার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।