অভিবাসী ইস্যুতে কলম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর হুমকি আপাতত প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসী বহনকারী সামরিক উড়োজাহাজ কলম্বিয়ায় অবতরণের অনুমতি দেওয়ার পর এই সমঝোতা হয়েছে বলে হোয়াইট হাউজ থেকে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা গেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত অভিবাসীদের উড়োজাহাজ অবতরণের অনুমতি না দেওয়ায় কলম্বিয়ার ওপর চড়া শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এরপর রবিবার রাতে হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিবাসীদের গ্রহণে সম্মত হয়েছে কলম্বিয়া। ফলে ওয়াশিংটন শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ আপাতত নিতে যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শর্ত মেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক বাহনে ফেরত পাঠানো সব অবৈধ অভিবাসীকে গ্রহণে সম্মত হয়েছে কলম্বিয়ার সরকার। শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কেবল ড্রাফট বানানো হয়েছে, কোনও চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হয়নি। কলম্বিয়া তাদের কথা রাখতে ব্যর্থ না হলে ড্রাফট চূড়ান্তের স্বাক্ষর করা হবে না।
এ বিষয়ে কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস গিলবার্টো মুরিল্লো বলেছেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য প্রেসিডেনশিয়াল ফ্লাইট প্রস্তুত করে রেখেছে সরকার।
সামরিক বাহনে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের গ্রহণে অসম্মত হওয়ায় কলম্বিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এক সপ্তাহ পর সেটি বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশে নেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। এছাড়া দেশটির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কলম্বিয়ান সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা বাতিল এবং আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতে একগাদা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যবস্থা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন ট্রাম্প।
এরআগে, সামরিক বাহনে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিরোধীতা করেছিলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। হাতকড়া পরানো মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরানোর অভিযানে তারা অংশগ্রহণ করবেন না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, আমরা নাৎসিদের মতো নই।
তবে তিনি আরও বলেছিলেন,নির্বাসিত অভিবাসীদের বেসরকারি বিমানে পাঠানো হলে তার আপত্তি নেই এবং তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন।