ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির পর নদীর দু-কুল উপচে পড়ে। এতে বাড়িঘর ও কৃষিজমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
'কারো' জেলার সেমাংগাট গুনুং এলাকায় উদ্ধারকার্য পরিচালনায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান জুসপ্রি এম নাদিয়াক জানিয়েছেন, রবিবার রাতে ভূমিধসে দুটি বাড়ি ও একটি কুঁড়েঘর চাপা পড়ে ছয়জন মারা গেছেন। আহত অবস্থায় নয়জন সরে যেতে সক্ষম হন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন চারজন, তাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।
রবিবার দক্ষিণ তাপানুলি জেলার একটি নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় সেখানে কমপক্ষে ১০টি বাড়ি ভেসে গেছে, ১৫০টি বাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রধান পুপুত মাশুরি জানিয়েছেন, বন্যায় ১৩০ হেক্টরেরও বেশি কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
ডেলি সেরডাং জেলায় আকস্মিক বন্যায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সেখানে নিখোঁজ দুইজনের সন্ধান বের করার চেষ্টা চলছে।
পাদাং লাওয়াস জেলার হারাঙ জুলু গ্রামে ভূমিধসে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান মুস্তারি জানিয়েছেন, শনিবার রাতে একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিতে প্রায়ই বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দেশটির ১৭ হাজার দ্বীপে অনেক মানুষ পাহাড়ি এলাকায় বা উর্বর প্লাবনভূমির কাছাকাছি বসবাস করে।
গত ডিসেম্বরে উত্তর সুমাত্রার পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ভারী বৃষ্টির ফলে ভূমিধস ও বন্যায় ১২ জন টোবা হ্রদে ভেসে যায়। এর মধ্যে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও ১১ জন এখনও নিখোঁজ।
টোবা হ্রদ একটি প্রাচীন আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। সুমাত্রা দ্বীপের একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল এটি। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ইন্দোনেশিয়া সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় এই এলাকা।