রাশিয়ার গভীরে হামলা করতে দূরপাল্লার মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ওয়াশিংটনের অনুমতি পেয়েছে ইউক্রেন। এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একটি মুহূর্ত হতে পারে বলে সোমবার (১৮ নভেম্বর) মন্তব্য করেছেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সিদ্ধান্ত ছিল। রাশিয়া বুঝতে পারছে, পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান দৃঢ় ও অটল। আর ইউক্রেন শক্তিশালী সমর্থন পাচ্ছে। এটি যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ, হয়তোবা ফল নির্ধারক মুহূর্তও হতে পারে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের কথা রবিবার প্রকাশ করেছেন দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা ও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
ডুডা জার্মানির সমালোচনা করে বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে একমত হয়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গত শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের ফোনালাপ একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া যখন নৃশংসভাবে ইউক্রেনে আক্রমণ চালাচ্ছে, তখন পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম নেতা, ইউরোপের বৃহৎ ও শক্তিশালী অর্থনীতির একটি দেশ হামলাকারীর সঙ্গে আলোচনা করছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ভুল সিদ্ধান্ত।
ডুডা বলেছেন, জার্মানি হয়ত রাশিয়ার সঙ্গে কোনও চুক্তি করতে ও রাশিয়া থেকে জ্বালানি সম্পদ কেনার পথ খুঁজছে, যেমনটা তাদের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কও শলৎজের সমালোচনা করে বলেছেন, পুতিনকে কেউ ফোনকল দিয়ে থামাতে পারবে না।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্য ও সমর্থনের বিষয়টি বারবার সামনে আসছে। মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তবে জার্মানির অবস্থান নিয়ে বিতর্ক পশ্চিমা ঐক্যের বিষয়ে নতুনভাবে প্রশ্ন তুলেছে। ফলে ইউরোপের নিরাপত্তা ও রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।