এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরাজয় বরণের পর সোমবার (১১ নভেম্বর) পার্লামেন্টে আরেকটি ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। অবশ্য ইশিবার পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও তাদের সহযোগী দল কোমেইতোর জোট সরকার ৪৬৫ আসনের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। জাপানের দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টারি ব্যবস্থায় সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশ এটি। ইশিবার দলের আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রতিক্রিয়ায় জন অসন্তুষ্টির প্রতিফলন দেখা গেছে ওই নির্বাচনে।
সোমবার একটি বিশেষ পার্লামেন্টারি অধিবেশনে নতুন নেতা বাছাই করা হবে। সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে এই ভোট বাধ্যতামূলক। এলডিপি নেতাই সাধারণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরাবর নির্বাচিত হয়ে আসায় এই ভোট সাধারণত বেশি মনোযোগ পায় না।
ইশিবার পুনঃনির্বাচন সম্ভাবনা বেশি হলেও, এবার প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ইয়োশিহিকো নোডার সঙ্গে এলডিপি নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠতে পারে।
ইশিবা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। পুনরায় নিয়োগ পাওয়ার জন্য এটি একটি বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ। পুনঃনির্বাচনের পর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন ইশিবা। আগের মন্ত্রীসভার তিনজন মন্ত্রীর পরাজয়ের ফলে এবার তাদের পদের নতুন মুখ আসতে যাচ্ছে।
নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও ইশিবা পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বরং তিনি বলেছেন, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ও তার দলের নীতি বাস্তবায়নে অন্যান্য দলের সঙ্গে কাজ করতে তিনি প্রস্তুত। অপরদিকে, প্রধান বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান নোডা একটি বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা করছেন। এখনও অবশ্য সফল হননি তিনি।
সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন পলিসি নিয়ে আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ইশিবা। যেমন, বাজেট ও অন্যান্য আইনি বিষয় পাস করাতে বিরোধীদের সমর্থন প্রয়োজন হবে তার। প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকে এই সমর্থন আদায়ে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে এলডিপির।
চলতি মাসের শেষদিকে আসিয়ান ও জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইশিবার অংশগ্রহণ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির সরকার। এই সফরে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও একটি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।