যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে এক দম্পতি পরস্পরকে হত্যা করেছেন। হ্যালোউইনের রাতে (৩১ অক্টোবর) নিজেদের বাড়িতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে তারা একে অপরের হাতে নিহত হন। ওই দম্পতির ১১ বছর বয়সী ছেলে সে সময় অন্যঘরে ভিডিও গেম খেলছিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩১ অক্টোবর হ্যালোইনের রাতে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ওই দম্পতির সন্তান কানে ইয়ারবাড পরে অন্যঘরে ভিডিও গেম খেলছিল। ফলে মা-বাবার মরদেহ খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতো না।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে প্রথম হামলাকারী কে, তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেননি গোয়েন্দারা।
নিহতরা হলেন ৩৮ বছর বয়সী হুয়ান অ্যান্তোনিও আলভারাদো সায়েনজ ও ৩৯ বছর বয়সী সিসিলিয়া রোবলেস ওচোয়া। তাদের দুজনের দেহেই মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় শেরিফ কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুকে একাধিক ছুরিকাঘাতের কারণে আলভারাদো সায়েনজের মৃত্যু হয়েছে। আর রোবলস ওচোয়ার দেহে ছুরিকাঘাতের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্নও রয়েছে।
রান্নাঘরে মা-বাবার নিথর দেহ খুঁজে পাওয়ার পর জরুরি সেবা হটলাইন নাইন-ওয়ান-ওয়ানে ফোন করে ছেলেটি। সহায়তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও ওই দম্পতিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সময় বাড়িতে নিহত দম্পতির ছেলে ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
শেরিফ কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, আলভারাদো সায়েনজ ও রোবলেস ওচোয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তারা বিচ্ছেদের পরিকল্পনাও করছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রটি আলভারাদো সায়েনজের কর্মস্থল থেকে চুরি হয়েছিল বলে পরবর্তীতে জানা গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।