লেবাননে বিস্ফোরিত হওয়া পেজার তাদের তৈরি করা নয় বলে দাবি করেছে তাইওয়ান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গোল্ড অ্যাপোলো। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহারের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোম্পানি বিএসি এই পেজার বানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গোল্ড অ্যাপোলোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট হসু চিং কোয়াং বলেছেন, ‘যন্ত্রগুলো আমরা তৈরি করিনি। ওগুলোতে কেবল আমাদের ব্র্যান্ডের নাম ছিল।’
গতকাল লেবানন জুড়ে একযোগে প্রায় ৩ হাজার যোগাযোগযন্ত্র পেজার বিস্ফোরিত হয়। এতে অন্তত ৯ জন নিহত ও ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। দেশটির জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই ঘটনায় ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হাত রয়েছে।
বিধ্বস্ত পেজার গুলোর কাঠামো ও এতে থাকা স্টিকার যাচাই করে এগুলোর সঙ্গে গোল্ড অ্যাপোলোর পেজারের সামঞ্জস্য খুঁজে পেয়েছে রয়টার্স।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তাদের এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, এআর-৯২৪ মডেলের পেজারটি উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল বিএসি নামক একটি প্রতিষ্ঠান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএসি-কে গোল্ড অ্যাপোলোর ব্র্যান্ড ট্রেডমার্ক ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আর উৎপাদন ও বিক্রি সম্পূর্ণ বিএসি নিয়ন্ত্রণ করতো।
অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপে অবস্থিত বললেও পরে এর অবস্থান প্রকাশে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট কোয়াং। বিএসি থেকে অর্থ পেতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নজরদারি এড়াতে পেজার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে হিজবুল্লাহর সদস্যদের মধ্যে।
পেজার বিস্ফোরণের পর তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গোল্ড অ্যাপোলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিয়েছিলেন। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাইওয়ান থেকে লেবাননে সরাসরি পেজার রফতানির কোনও তথ্য নেই।
পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় গোল্ড অ্যাপোলো নিজেও ভুক্তভোগী বলে দাবি প্রেসিডেন্ট কোয়াংয়ের। বিএসি-র কাছে থাকা লাইসেন্সের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকলনা চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বৃহদাকার না হলেও দায়িত্বশীল একটি প্রতিষ্ঠান। গতকালের ঘটনা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’