যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আবারও জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। গাজায় ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) এই দাবি করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর ডিক ডার্বিন জিম্মিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাদবাকি জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ সরবরাহ এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে এখনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করা প্রয়োজন।’
গাজায় একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। উদ্ধারকারীরা পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগেই তাদের হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে জিম্মিদের মুক্ত করতে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট পালন করছে জনগণ।
সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী ছয় জিম্মির নাম কারমেল গ্যাট, এডেন ইয়েরুশালমি, হেরশ গোল্ডবার্গ-পোলিন, আলেক্সান্ডার লোবানোভ, আলমগ সারুসি ও মাস্টার সার্জেন্ট ওরি ডানিনো।
নিহত মার্কিন নাগরিক গোল্ডবার্গ-পোলিনের মা-বাবাকে ব্যক্তিগতভাবে সমবেদনা জানিয়েছেন বাইডেন। হামাসের কাছে জিম্মি অন্যান্য মার্কিন নাগরিকের পরিবারের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন সুলিভান।
এদিকে, রিপাবলিকানদের মধ্যে অনেকে বাইডেন ও হ্যারিসের সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলকে যথাযথ সমর্থন দিতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।
রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন বলেছেন, ‘তাদের (বাইডেন প্রশাসন) কার্যকলাপের মাধ্যমে হামাসকে কেবল উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
ইসরায়েলে জনবিক্ষোভ সামাল দিতে নেতানিয়াহুর করণীয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘হামাসকে শক্তহাতে দমন করতে তাকে আহ্বান জানাবো। এই কাজটা বাইডেন ও হ্যারিসের শুরুতেই করা উচিত ছিল।’