বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সংরক্ষণের জন্য ভারত আগামী দুই বছরে প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হ্রদসহ বিভিন্ন ধরণের জলাশয় বিস্তৃত করা এবং মুম্বাই, চেনাই ও বেঙ্গালুরুসহ ৭টি শহরে নালা নির্মাণ করা হবে। বুধবার (২১ আগস্ট) দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা এসব কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্য কৃষ্ণ এস ভাতসা বলেছেন, পরিকল্পনার প্রথম ধাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য জলাশয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পূর্ব-সতর্কতা ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
দেশটিতে প্রতি বর্ষায় বন্যা নিয়মিত একটি দুর্যোগ হলেও মাঝেমধ্যে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। দ্রুত নগরায়নের ফলে শহরাঞ্চলে জলাধার সংকোচন ও নালাগুলোতে আবর্জনা জমে থাকায় বন্যায় নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যার আগে পানিসংকট তীব্রতর হচ্ছে।
এক সাক্ষাৎকারে ভাতসা বলেছেন, ‘এটি নগরাঞ্চলে বন্যা প্রশমনে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। অতিরিক্ত পানি সরে যাওয়ার জন্য নর্দমা ব্যবস্থার উন্নতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর সঙ্গে, নদী ও হ্রদের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির মতো প্রাকৃতিক পদ্ধতির দিকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
ক্রমবর্ধমান পানি সংকট দেশটির প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে জুনেই সতর্ক করেছিল আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী সংস্থা মুডি’স।
ভাতসা আরও বলেন, পরিকল্পনার জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি রূপি (প্রায় ২৯ দশমিক ৮ কোটি মার্কিন ডলার)। এর মধ্যে মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতা প্রত্যেকে পাবে ৫০০ কোটি রূপি। বেঙ্গালুরু ও পুনে ২৫০ কোটি রূপি করে পাবে। দিল্লির জন্য আলাদা কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি। বন্যার তীব্রতা, পৌনঃপুনিকতা ও ক্ষয়ক্ষতির ভিত্তিতে শহর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে সম্প্রতি অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চলতি বছরের ৮ জুলাই রাজধানীতে ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।