রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করতেন তাকে হত্যায় অভিযুক্ত টেরেস ডেভোন হাসপিল। নিজেকে তিনি পরিচয় দিতেন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে কোনও অপরাধী গ্রেফতারের পর তার বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয় না। হাসপিলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বজায় রাখছেন পুলিশ সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও ফাহিমের ফোনে পাওয়া এক টেক্সট মেসেজের সূত্রে শুক্রবার (১৭ জুলাই) ফাহিমের সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে গ্রেফতার করা হয় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে। একইদিনে তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান ডিটেকটিভ রোডনি হ্যারিসন সাংবাদিকদের বলেন, ফাহিমের অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো তদারকি করতো সন্দেহভাজন হাসপিল। এখন পর্যন্ত পাওয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২১ বছর বয়সী হাসপিল ১ লাখ ডলার চুরি করেছিলেন ফাহিমের। এর বাইরেও ফাহিম তার কাছে আরও অনেক ডলার পেতেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এনওয়াইপিডি'র গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রডনি হ্যারিসন জানান, ‘চুরি করা অর্থের পাশাপাশি হাসপিল আরও বড় অঙ্কের অর্থ ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন বলে আমরা ধারণা করছি।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসপিল লং আইসল্যান্ড হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তবে ডেইলি নিউজ বলছে, সেই গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি হাসপিল। ফাহিমের সঙ্গে তিনি কাজ করার সুযোগ পান একটি প্রতিযোগিতা থেকে।
২০০৯ সালে প্র্যাঙ্ক ডায়াল নামের একটি মজার ওয়েবসাইট তৈরি করেন ফাহিম। সেই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য ওয়েব ডিজাইনের প্রতিযোগিতায় টিকে যাওয়া হাসপিলকে নিয়োগ দেন তিনি। এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিতে চিফ অব স্টাফ হিসেবেও যোগ দেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও কাজ করছিলেন তিনি।
এ সম্পর্কিত আরও খবর-
পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া, এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ
খুনির গ্রেফতার ছাড়া কিছুতেই সান্ত্বনা পাব না: ফাহিমের পরিবার
ফাহিম হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ
ফাহিমের সম্ভাব্য খুনিকে চিনতে পেরেছে মার্কিন পুলিশ?
হত্যার পরদিন কেন আবার ফাহিমের ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল খুনি?