বয়স কোনও বাধা নয়, আবারও তাই প্রমাণ করলেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন বি গুডএনাফ। ৯৭ বছর বয়সে জয় করে নিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য আরও দুজন বিজ্ঞানীর সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান এই মার্কিন বিজ্ঞানী।
প্রতিবছর বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস বুধবার চলতি বছরের রসায়েনে নোবেল বিজয়ী তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। এ পর্যন্ত ১৮১ জনকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মার্কিন বিজ্ঞানী আর্থার আশকিন ৯৬ বছর বয়সে এই পুরস্কার পেয়ে রেকর্ড করেছিলেন। ২০০৭ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি। আর এবার তার রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল জয়ের রেকর্ড গড়লেন জন গুডএনাফ।
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির কারণেই বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার সহজ হচ্ছে। মোবাইল ফোন, পেসমেকার, ইলেকট্রিক কারের ব্যবহারের পথ তৈরি করেছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। সেই অবদানের কারণেই তাকে সম্মানিত করা হয়।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।