X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

‘সেন্সর’ কেটে ‘সার্টিফিকেশন’: পার্থক্য কী, প্রত্যাশা কেমন?

মাহমুদ মানজুর
মাহমুদ মানজুর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪২আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৪৪

দেশের বেশিরভাগ নির্মাতা-প্রযোজক-শিল্পীর প্রত্যাশা অনুযায়ী সেন্সর বোর্ড বাতিল করে বিগত সরকারের আমলে সার্টিফিকেশন বোর্ড আইন পাস করা হয়। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার কেবল সদস্য বদলের মাধ্যমে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফের পুরনো সেন্সর বোর্ডকেই পুনর্গঠন করে। মূলত এরপর চলচ্চিত্র সমাজ থেকে তুমুল প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। এর জের ধরে প্রজ্ঞাপন জারির প্রথম দিনেই নির্মাতা আশফাক নিপুণ নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। কারণ তিনি বরাবরই সেন্সর বোর্ডের বিরোধিতা করে আসছিলেন এবং একইসঙ্গে সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর একই বোর্ড থেকে অস্পষ্ট কারণে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন আরেক সদস্য লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনও।

এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাত দিনের মাথায় রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’ থেকে ‘সেন্সর’ শব্দটি বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে ‘সার্টিফিকেশন’। এখন এর নাম দাঁড়িয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’। এটি পুনর্গঠনের খবর প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। যেখানে সদস্য তালিকায় পাওয়া যায়নি আশফাক নিপুণ ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নাম। বাতিল হওয়া সেন্সর বোর্ডের বাকি সদস্যরা বহাল আছেন সার্টিফিকেশনেও। 

আশফাক নিপুণ ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের পরিবর্তে সেন্সর বোর্ড থেকে সার্টিফিকেশন বোর্ডে যুক্ত করা হয়েছে প্রযোজক, পরিচালক ও সংগঠক জাহিদ হোসেন এবং চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবিরকে।

আশফাক নিপুন (ছবি: সংগৃহীত)

কিন্তু সেন্সর বোর্ড থেকে সার্টিফিকেশনে রূপ নেওয়ার মাঝের সাত দিনে ঘুরেফিরে সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগের কাছেই প্রশ্ন ছিল, দুটোর আদলে আসলে পার্থক্য কী? নাম বদলানোর পর কাজের ধরন কেমন হবে? কিংবা আদৌ চলচ্চিত্র শিল্পের কোনও উপকারে আসবে এই পরিবর্তন? কেমন করে চলবে এই সার্টিফিকেশন? একে অপরের প্রতি এমন হরেক প্রশ্নে জেরবার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। উৎসুক সাধারণ চলচ্চিত্রপ্রেমীরাও।

মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (ছবি: সংগৃহীত)

সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খিজির হায়াত খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন ইতিহাসের শুরুটা হলো। তবে অনেক কাজ বাকি। কারণ সার্টিফিকেশন আইন পাস হলেও এর বিধিগুলো তৈরি হয়নি। সেগুলো সবাই মিলে গবেষণার মাধ্যমে তৈরি করতে হবে। সেগুলো সর্বসম্মতিক্রমে পাস করাতে হবে। আমি মনে করি, আমাদের এই বোর্ডের মূল কাজ এখন এটাই। যদি এই কাজ যথাযথভাবে সততার সঙ্গে আমরা করতে পারি, তাহলে নিজেকে এই বোর্ডের যৌক্তিক অংশ মনে হবে।’

খিজির হায়াত খান (ছবি: সংগৃহীত)

অনেকেরই জানতে চাওয়া, সেন্সর বোর্ড ও সার্টিফিকেশন বোর্ডের কাজের মূল পার্থক্য কী? চলচ্চিত্রজনদের সঙ্গে আলাপে এটুকু স্পষ্ট, সেন্সর বোর্ড চাইলে যেকোনও ছবিতে কাঁচি চালাতে ও নিষিদ্ধ করতে পারে, এমনকি ছাড়পত্র না দিয়ে ফেলে রাখতে পারে হিমাগারে। সাধারণত সার্টিফিকেশন বোর্ড এসব পারে না। এই বোর্ড সিনেমা দেখার পর গ্রেডিং দিয়ে ছেড়ে দিতে পারে। তাদের রায়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে দর্শকশ্রেণি। মোটা দাগে সার্টিফিকেশন বোর্ড মানে সব সিনেমাই উন্মুক্ত! তারা শুধু সিনেমাটিকে এমন একটি গ্রেডিং করে দেয়, যাতে দর্শকরা আগাম ধারণা নিয়ে ছবিটি দেখতে যেতে পারেন প্রেক্ষাগৃহে। এটা দর্শকদের জন্য অনেকটা সেইফগার্ডের মতো।

যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক চলচ্চিত্রজনই মনে করছেন, বাংলাদেশের জন্য এমন গ্রেডিং সিস্টেমে উন্মুক্ত চলচ্চিত্রনীতি পালন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সেন্সর বোর্ডের ছায়া ধরেই সার্টিফিকেশনের আইন প্রণয়ন হয়েছে। ফলে নাম বদলের বাইরে মূলত আর কিছুই বদলাবে না।

সেই আলোকে বোর্ড সদস্য খিজির হায়াত খান মনে করেন, ‘সার্টিফিকেশন বোর্ডকে কার্যকর করতে পুরো আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন দরকার। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের জন্য রক্ষাকবচের কথাও ভাবতে হবে। কারণ এমন সিনেমা নিশ্চয়ই মুক্তি পাবে না, যেটি দেখে দেশে ধর্মীয় কিংবা জাতিগত দাঙ্গার জন্ম হয়। ফলে সবাইকে নিয়ে সব ভেবেই কাজটি করতে হবে; যেখান থেকে সুফল পাবে সিনেমা, দেশ ও দর্শক।’

সার্টিফিকেশনেও যদি ‘রক্ষাকবচ’ নিয়ে ভাবা হয়, সেক্ষেত্রে বোর্ডের নাম বদল করে কি আদৌ কোনও সুরাহা হলো চলচ্চিত্রের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের? কারণ, যেসব ছবি সেন্সর বোর্ডে এখনও আটকে আছে, সেগুলো তো রাষ্ট্রের মঙ্গল ও শৃঙ্খলার কথা ভেবেই সদস্যরা আটকে রেখেছেন! এমনটাই জানা গেছে অতীত বোর্ড সদস্যদের মন্তব্যে।

এমন প্রসঙ্গের আলোকে নাম প্রকাশে অনাগ্রহী একজন সফল নির্মাতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘নামটাই বদল হয়েছে। আর কিছু নয়। সেন্সরের জায়গায় সার্টিফিকেশন শব্দটি বসেছে। বেসিক আর কোনও বদল হয়নি কিংবা হবে বলে মনে করা ঠিক হবে না। কারণ, বাংলাদেশে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এখানে সরকারকে রক্ষণশীল হতেই হবে। কারণ এটা আমেরিকা-ফ্রান্স নয়। এটা বাংলাদেশ। তবে এক্ষেত্রে খানিকটা উন্নতি ঘটানো সম্ভব যদি বিধিমালাগুলো নির্দিষ্ট করা হয়। যেমন, এভাবে বলতে হবে ‘শুধু চুম্বন অ্যালাউ’। সেটা না বলে যদি বলা হয় ‘নগ্নতা অ্যালাউ হবে না’, তাহলে বিপদ। নগ্নতা মাপবেন কীভাবে? একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম। আবার যদি বলা হয় ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’, এমন বায়বীয় বিধি লেখা অর্থহীন। এখানে স্পষ্ট করে বলতে হবে, ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে ঠিক কী কী বিষয়, কোন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়ে। নাম উল্লেখ করতে হবে। এভাবে যদি প্রতিটি বিষয় যৌক্তিকভাবে স্পেসিফাই করা হয়, তাহলে একটা কিছু দাঁড়াতে পারে। দেখা যাক কী করেন নতুন বোর্ড সদস্যরা।’

এই নির্মাতা মনে করেন, সেন্সর বা সার্টিফিকেশন হচ্ছে ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো। তার ভাষায়, ‘দেশে সিনেমা বানানোর মতো কোনও পরিবেশ-পরিস্থিতি নেই। যোগ্য লোকের অভাব। যোগ্য টেকনিশিয়ান নেই। একটি মৌলিক সিনেমা বানানোর জন্য শতভাগ প্রতিকূল একটা দেশে সার্টিফিকেশন নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়। মানসম্মত সিনেমা নিয়ে আমাদের সবাইকে ভাবা দরকার। সেজন্য সরকারের প্রতি আবদার রাখতে হবে। একটা ভালো বা বুদ্ধিবৃত্তিক সিনেমাকে কখনোই সেন্সর বা সার্টিফিকেশন দিয়ে আটকে রাখা যায় না। ইরানে সিনেমা হচ্ছে না? সেই সিনেমা দেখে গোটা দুনিয়ার মানুষ মুগ্ধ হচ্ছে না? অথচ আমাদের সিনেমার খবর নেই, আর আমরা পড়ে আছি সেন্সর নিয়ে!’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মনে করেন, এখন যে সেন্সর নীতিমালা রয়েছে, সেটা এমনভাবে বানানো হয়েছে, যাতে যে দল ক্ষমতায় থাকবে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনও ছবি আটকে দেওয়া যায়। তার প্রত্যাশা, ‘আমরা চাই, যে দলই সরকারে থাকুক, ফিল্মমেকারদের গলা যেন কেউ চেপে ধরতে না পারে। তার বদলে একটা রেটিং সিস্টেম চালু করা উচিত, যেখানে বলে দেওয়া হবে কোনটা অ্যাডাল্টদের জন্য, কোনটা প্যারেন্টাল গাইডেন্স লাগবে ইত্যাদি।’

নিজের দেখানো পথের বিপরীত দিকও উল্লেখ করেছেন ফারুকী। তিনি বলেন, ‘এখন প্রশ্ন আসতে পারে অবাধ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে কেউ যদি একটা ছবি বানায়, যেখানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চরিত্রকে রাজাকার দেখালো কোনও আওয়ামী অন্ধভক্ত ফিল্মমেকার, তখন? অথবা উল্টো দিকে আরেক অন্ধভক্ত একটা ছবি বানালো যেখানে বঙ্গবন্ধু ডিজইনফরমেশন দ্বারা আক্রান্ত হলো? এসব মোটা দাগের বিষয় ঠেকানোর স্পষ্ট বিধান রেখেও নিশ্চয়ই বিধিমালা করা যাবে, যেখানে ফিল্মমেকাররা ইতিহাসকে প্রশ্ন করতে পারবে। পাশাপাশি আমি জানি, ধর্মীয় কিছু সেনসিটিভ ব্যাপার সেইফগার্ড করার কথা বলবেন সরকারি কর্মকর্তারা। এটা নিয়ে তারা আগেও বলেছিলেন। আমার উত্তর, সেখানেও কী বিধান রাখতে চান স্পষ্ট ভাষায় রাখেন। ভেইগ টার্মে কিছু রাখা যাবে না, যেটার ব্যাখ্যা শত রকম হতে পারে এবং এই সুযোগ নিয়ে সরকার কাউকে হয়রানি করতে পারে।’

অনন্য মামুন

এদিকে সেন্সর ও সার্টিফিকেশনের মধ্যে পার্থক্য জানতে চাইতেই ভারত ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন নির্মাতা অনন্য মামুন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “কাগজে কলমে অবশ্যই সেন্সর থেকে সার্টিফিকেশন অনেক উত্তম একটা পদ্ধতি। যেমন দুই বছর ধরে আমার সিনেমা ‘মেকআপ’ আটকে আছে সেন্সর বোর্ডে। অনেক চেষ্টা তদবির করেছি, আপিল করেছি। আপিল বোর্ড আমাকে জানিয়েছে, ‘সিনেমাটি খুব দুর্বল নির্মাণ, দুর্বল চিত্রনাট্য, বাজে শটসহ নানা কারণেই এই ছবি প্রদর্শনের অযোগ্য।’ এই মন্তব্যটি পড়লেই স্পষ্ট হবেন, তারা আসলে নিজেরাই সিনেমাটি নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন। দুর্বল নির্মাণ, চিত্রনাট্য, দৃশ্যায়ন- এগুলো তো তাদের দেখার বিষয় নয়। তারা দেখবেন ছবিটি রাষ্ট্রের বা জাতির কোনও ক্ষতির কারণ হচ্ছে কিনা।”

অনন্য মামুনের বিশ্বাস, ‘মেকআপ’ ছবিটি যদি ভারতীয় সার্টিফিকেশন বোর্ড দেখতো, তাহলে তারা যেকোনও একটা গ্রেড দিয়ে চোখ বন্ধ করে ছেড়ে দিতো। এ প্রসঙ্গে নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তরুণ এই নির্মাতা, “সম্প্রতি আমার ‘দরদ’ সিনেমা ভারতের বোর্ডে জমা দিয়েছি। ছবিটি দেখে তারা আমাকে ডেকেছে। মাত্র ১৩ সেকেন্ডের একটি দৃশ্য ধরে তারা আমাকে বলেছে এই ছবিকে ‘অ্যাডাল্ট’ গ্রেডিং দেওয়া হবে। তখন আমি তাদের বুঝিয়েছি আমার যুক্তি। কেন ওই দৃশ্যটি আমার সিনেমায় জরুরি। কেন অ্যাডাল্ট গ্রেডিং আমার জন্য অযৌক্তিক। বলতে চাইছি, এই খোলামেলা যুক্তিতর্ক করা যায় ভারতের সার্টিফিকেশন সিস্টেমে। যেটা আমাদের এখানে করতে পারিনি। সেই পরিবেশটা হয়নি। আমার আশা, নিশ্চয়ই নতুন বোর্ড সদস্যরা সেদিকেই নিয়ে যাবেন আমাদের।”

অনেকেই বলছেন, সেন্সর বোর্ড বাতিল হলেও তার সব কালাকানুন কপি পেস্ট করে তৈরি হয়েছে সার্টিফিকেশন আইন! যার প্রথম প্রতিচ্ছবি বোর্ডের সদস্য সংখ্যা। ১৫ জন সদস্যের অর্ধেকই সচিবালয়ের! এই রীতি সেন্সর বোর্ডের। অন্যরা তো বটেই, খোদ সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্যদের কেউ কেউ মনে করেন, এটা ঠিক নয়। বড় জোর একজন সচিব থাকতে পারেন বোর্ডে। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন অন্য শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।

এদিকে এই আলাপে বোর্ড থেকে বেরিয়ে পড়া সদস্য আশফাক নিপুণ এবং ভেতরে থাকা অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে যুক্ত করতে চাইলেও তারা সাড়া দেননি। অন্যদিকে সার্টিফিকেশন বোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারির দিন (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড-এর ওয়েবসাইটের নাম বদলায়নি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সেন্সরে আটকে থাকা কিছু সিনেমার দৃশ্যের কোলাজ

বলা দরকার, আওয়ামী লীগ শাসনামলে অন্তত ছয়টি আলোচিত সিনেমা আটক বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেন্সর বোর্ড। এছাড়া কাঁচির নিচে পড়েছিল অসংখ্য ছবি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ৬টি ছবি না আটকালে ১৫ বছরে এমন আরও ৫০টি সিনেমা নির্মাণ হতো দেশে। যেগুলোর মধ্য দিয়ে ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ প্রতিষ্ঠা পেতো, সমৃদ্ধ হতো চলচ্চিত্র শিল্প। এ তালিকায় রয়েছে এনামুল করিম নির্ঝরের ‘নমুনা’, নজরুল ইসলাম খানের ‘রানা প্লাজা’, অং রাখাইনের ‘আমার বাইসাইকেল–মর থেংগারি’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’, অনন্য মামুনের ‘মেকআপ’ এবং রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’। প্রতিটি ছবি ইতিহাস, বাংলাদেশ, চিত্রনাট্য ও নির্মাতা বিবেচনায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেন্সর বোর্ড হিমাগারেই রেখে দিলো এগুলো!

/জেএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
এবারের কান উৎসবে স্থান পেল যে ছবিগুলো
এবারের কান উৎসবে স্থান পেল যে ছবিগুলো
কান উৎসবে টমের চূড়ান্ত মিশন, সম্মানিত হবেন ডি নিরো
৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব কান উৎসবে টমের চূড়ান্ত মিশন, সম্মানিত হবেন ডি নিরো
সানড্যান্স ২০২৫: পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
সানড্যান্স ২০২৫: পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
সানড্যান্স ২০২৫: গল্পটা ম্যাসেডোনিয়ার, বাংলাদেশেরও
সানড্যান্স ২০২৫: গল্পটা ম্যাসেডোনিয়ার, বাংলাদেশেরও
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
রাজের ‘ইনসাফ’, নায়িকা ফারিণ
রাজের ‘ইনসাফ’, নায়িকা ফারিণ
নতুন নেতৃত্বে অভিনয়শিল্পী সংঘ
নতুন নেতৃত্বে অভিনয়শিল্পী সংঘ
কয়েদির পোশাকে সিনেমা হলে শতাধিক ভক্ত!
কয়েদির পোশাকে সিনেমা হলে শতাধিক ভক্ত!
বিয়ে ‘বিতর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন শাবানা!
বিয়ে ‘বিতর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন শাবানা!
ছোটবেলা থেকেই আমি সিয়ামের ফ্যান: নৈঋতা
ছোটবেলা থেকেই আমি সিয়ামের ফ্যান: নৈঋতা