বলিউডে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর আজকের যে অবস্থান তা একদিনের নয়। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, সংগ্রাম, ধৈর্য আর অভিনয়ের ক্ষুধাই তাকে আজ এখানে এনেছে। বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে তিনি নিজের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন বলিউডে।
নওয়াজ প্রায়ই আগের ঘটনা নিয়ে কথা বলে থাকেন। তিনি কীভাবে বড় পর্দায় কাজের জন্য সংগ্রাম করেছেন তা বলেন অকপটে।
এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা জানিয়েছেন, কমল হাসান অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা ‘হে রাম’-এ তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এমনকি তাকে একটি ছোট চরিত্রও দেওয়া হয়েছিলো। তবে সবকিছু পরিকল্পনা মতো না হওয়ায়, শেষপর্যন্ত এই সিনেমা থেকে তার চরিত্র বাদ দেওয়া হয়। এই খবর শুনে নওয়াজ অঝোরে কেঁদেছিলেন। কপিল শর্মার শোতে এসে নওয়াজ তার এই অভিজ্ঞতা ভাগ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল। কথা ছিল, জনতার আক্রমণের শিকার হওয়া এক ব্যক্তি যাকে কমলজি উদ্ধার করবেন, সেই চরিত্রে আমাকে অভিনয় করতে হবে। আমার প্রিয় অভিনেতা ও যাকে আমি অভিনয়ে আদর্শ মানি, তার সাথে স্ক্রিন শেয়ার করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে যাই।’
এরপরই তিনি কষ্টের ঘটনাটি শেয়ার করে বলেন, “মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটিতে সিনেমার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। কমপক্ষে ৫-৬ জন বন্ধুকে নিয়ে আমি সিনেমার প্রিমিয়ার দেখতে গিয়েছিলাম। আমি বন্ধুদের বলেছিলাম, ‘আমি এই সিনেমায় কাজ করেছি।’ সবাই এসেছিলো। কিন্তু সিনেমা শুরু হওয়ার আগে, কমল হাসান সাহেব আমার কাছে এসে বললেন, ‘নওয়াজ, তোমার বন্ধুদের বলো তোমার চরিত্রটি সিনেমা থেকে কাটা হয়েছে।” নওয়াজ জানান, এই খবর শুনে তিনি অঝোরে কেঁদেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বন্ধুদের কাছে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে জানালাম যে, সিনেমায় আমার চরিত্র বাদ দেওয়া হয়েছে।’ নওয়াজ আরও জানান, সেসময় কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি হাসান তাকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘হে রাম’ সিনেমায় কমল হাসান ছাড়াও শাহরুখ খান ও নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনয় করেছেন।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান একপ্রেস