কিংবদন্তি গীতিকবি জাভেদ আখতার, যিনি প্রায় ১৩ বছর ধরে চিত্রনাট্যকার হানি ইরানির সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কে ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তবে তার আগেই অর্থাৎ ১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তখন বেশ তোলপাড় হয়েছিল বলিউড পাড়ায়।
কথিত আছে, শাবানার কারণে জাভেদ ও হিনার সম্পর্কে ফাটল ধরে।
শাবানার ভক্তরা এই ঘটনায় বেশ হতাশ ছিলেন। এমনকি এই অভিনেত্রীর দিকে বিদ্রূপের তীর ছুড়েছিল তখন। যদিও সে সময় শাবানা এসব বিষয়ে একদম মুখ বন্ধ রেখেছিলেন।
তবে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে শাবানা এসব নিয়ে বিস্তর কথা বলেন। তিনি মনে করেন, তার ভক্তদের কষ্ট পাওয়ার ব্যাপারটি স্বাভাবিক। কারণ ভক্তরা মনে করেছিলেন যে তিনি প্রবীণ গীতিকারকে বিয়ে করে হানি ইরানির অধিকার নষ্ট করেছেন।
তখন শাবানা, জাভেদ ও হানি এই বিষয়ে নীরব ছিলেন। কিন্তু মিডিয়া ও ভক্তরা ওই ঘটনার জন্য মূলত শাবানার ওপর ‘কাদা ছোড়াছুড়ি’ করেছিল প্রচুর। ফিল্মফেয়ারের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক কথোপকথনে শাবানা বলেন, ‘আমি নারীবাদী মডেল ছিলাম এবং এমন কিছু করেছিলাম যা ব্যাখ্যাতীত ছিল। আমি নাকি নিজের সুখের জন্য অন্য নারীর অধিকার হরণ করছিলাম, এমন কথাও বলা হয়েছিল। আমার মনে হয়, যারা নারীবাদী হিসেবে আমাকে অনুসরণ করতো, তাদের এটা অনুভব করার সম্পূর্ণ অধিকার ছিল।’
শাবানা জানান, তখন এ বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করার চেয়ে চুপ থাকা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত হবে বলে, তার মনে হয়েছিল এবং তিনি সেটিই করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, কোন পরিস্থিতিতে আমি বিয়ে করেছিলাম, তা যদি ব্যাখ্যা করতে শুরু করি, তবে সেটি হবে এই সম্পর্কে জড়িত মানুষ এবং পরিবারের জন্য আরও বেশি আঘাতের। কারণ আমি শিখেছি যে চুপ থাকাই ভালো। আমি মনে করি এটি খুব বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ জাভেদকে বিয়ের পর আমার ওপর যে কাদা ছোড়া হয়েছিল, অবশেষে এটি শেষ হয়েছে।’
শাবানা জানান, যেহেতু তারা তিন জন (শাবানা, জাভেদ, হিনা) একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই এটি তাদের সম্পর্ককে সহজ করতে সাহায্য করেছিল।
শাবানা বলেন, ‘আজ হানির সাথে আমার এত সুস্থ সম্পর্ক যে মানুষ এটা বিশ্বাস করবে না। কারণ কেউ কাদা ছোড়াছুড়ি করিনি আমরা। আর আমার মনে হয় এর কৃতিত্ব হানি, আমার ও জাভেদের।’ বলা দরকার, গীতিকার জাভেদ আখতার ও হানি ইরানির দুটি সন্তান জোয়া আখতার, ফারহান আখতার। ১৯৮৪ সালে শাবানা আজমিকে বিয়ে করেন জাভেদ। এই দম্পতির কোনও সন্তান নেই।