X
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
১৫ বৈশাখ ১৪৩২

সোহেল রানা: ৭৯তম জন্মদিনে এলো নতুন খবর

বিনোদন রিপোর্ট
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০৪আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১১

দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানার ৭৯তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।

এবারের জন্মদিন ঘিরে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এলো বিশেষ খবর। প্রথমবার তাকে ঘিরে তৈরি হলো একটি পডকাস্ট শো। যেখানে তার বয়ানে উঠে আসবে ফেলে আসা জীবনের নানান গল্প।

এটি অভিনেতার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘অতীতের স্মৃতিচারণ করতে আনন্দ লাগে। কিছু স্মৃতি আবার কষ্টেরও। এবার যা ভালো লেগেছে, তা হলো প্রথমবারের মতো পডকাস্টে নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের কথা বললাম।’

এই কিংবদন্তির জন্মদিন উপলক্ষে, আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ‘আইজ অন’ নামের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে তার প্রথম পডকাস্ট ‘আমি সোহেল রানা’-এর টিজার উন্মুক্ত  হবে। পডকাস্টের ব্যানারে সোহেল রানা বলা দরকার, শিক্ষা জীবনে একজন তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন মাসুদ পারভেজ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। তার জন্ম ঢাকাতে হলেও পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলায়।

শুরুতে প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন তিনি। তার আসল নাম মাসুদ পারভেজ হলেও ‘সোহেল রানা’ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। মূলত চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সোহেল রানা নাম ধারণ করেছিলেন তিনি।  

১৯৭২ সালে মাসুদ পারভেজ ফিল্মস নামে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা গড়েন তিনি। অন্তত ৩০টি চলচ্চিত্র তিনি প্রযোজনা করেছেন এই ব্যানারে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক ছিলেন তিনি। কিন্তু পরে নায়ক খ্যাতির আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় তার প্রযোজক পরিচয়টি। সোহেল রানা সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র একটি গল্প অবলম্বনে ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একই সিনেমার মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।  

‘এপার ওপার’, ‘দস্যু বনহুর’, ‘জীবন নৌকা’-এভাবে একের পর এক প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।  

সোহেল রানার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্মসের ব্যানারে ৩০টির অধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলো হলো- ওরা ১১ জন, মাসুদ রানা, গুনাহগার, জবাব, যাদুনগর, জীবন নৌকা, যুবরাজ, নাগ পূর্ণিমা, বিদ্রোহী, রক্তের বন্দী, লড়াকু, মাকড়শা, বজ্রমুষ্ঠি, ঘেরাও, চোখের পানি, ঘরের শত্রু, গৃহযুদ্ধ, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, শত্রু সাবধান, খাইছি তোরে, ভালোবাসার মূল্য কত, অন্ধকারে চিতা, ভয়ংকর রাজা, ডালভাত, চারিদিকে অন্ধকার, রিটার্ন টিকিট ও মায়ের জন্য পাগল। 

গুণী এই নায়কের ছেলেও এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই নির্মাণ করেন ‘অদৃশ্য শত্রু’ ও ‘গোয়িং হোম’ নামের চলচ্চিত্র।

লালু ভুলু (১৯৮৩), অজান্তে (১৯৯৬), সাহসী মানুষ চাই (২০০৩) তিনটি চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন সোহেল রানা। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আসরে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা-অভিনেতা।

১৯৯০ সালে ডা. জিনাত পারভেজকে বিয়ে করেন সোহেল রানা। তাদের একমাত্র ছেলে মাশরুর পারভেজ জীবরান। অভিনেতা মাসুম পারভেজ রুবেল তার ভাই। ছেলের সঙ্গে সোহেল রানা

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ইরেশ যাকের ‘খুনি’: ফুঁসে উঠলো ফেসবুক!
ইরেশ যাকের ‘খুনি’: ফুঁসে উঠলো ফেসবুক!
জসিম আহমেদের উদ্যোগে বাংলায় কোরিয়ান সুপারহিট সিরিজ
জসিম আহমেদের উদ্যোগে বাংলায় কোরিয়ান সুপারহিট সিরিজ
জল্পনা সত্যি করে ‘তাণ্ডব’-এ শাকিবের নায়িকা সাবিলা!    
জল্পনা সত্যি করে ‘তাণ্ডব’-এ শাকিবের নায়িকা সাবিলা!    
ইতিহাস সৃষ্টির পথে শাহরুখ!
ইতিহাস সৃষ্টির পথে শাহরুখ!
‘আলী’র কানের দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
‘আলী’র কানের দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়