বাংলাদেশের আধুনিক আলোকচিত্রশিল্পের পুরোধা আনোয়ার হোসেন। যার সিনেমাটোগ্রাফির মধ্য দিয়েই দেশীয় চলচ্চিত্রে নতুন ও আধুনিক দিক উন্মোচিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। তার ক্যামেরায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ উঠে এসেছে, যা ইতিহাসের অন্যতম দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০১৮ সালের এই দিনে (১ ডিসেম্বর) হঠাৎ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই চিত্রকর। তবে তারও তিন বছর আগে থেকে শুরু হয়েছিলো তার জীবনী নির্ভর সিনেমা ‘কে তাহারে চিনতে পারে’। এটি নির্মাণ করছেন নির্মাতা, লেখক ও চলচ্চিত্র সংগঠক বেলায়েত হোসেন মামুন।
৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে আনোয়ার হোসেন স্মরণে প্রকাশ হলো সিনেমাটির টিজার। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘আখড়া’র ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ৩৪ সেকেন্ডের এই টিজার প্রকাশ হয়। যাতে অনবদ্য সিনেমাটোগ্রাফির মাঝে শোনা যায় আনোয়ার হোসেনের কণ্ঠ। শেষে দেখা যায় এই ছবিয়ালকেও।
নির্মাতা বেলায়েত হোসেন মামুন বলেন, ‘সিনেমাটির নির্মাণ শুরু করি ২০১৫ সালে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলে এর দৃশ্যধারণ। তবে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর হঠাৎ মারা যান তিনি। ফলে সিনেমার কাজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। এরমধ্যে কাজ প্রায় শেষ। চলছে মুক্তির প্রস্তুতি।’
তিনি আরও জানান, আনোয়ার হোসেনের জীবনাদর্শন, স্বপ্ন এবং শিল্পদৃষ্টি এই সিনেমায় খুঁজে পাওয়া যাবে। তার কীর্তি ও স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই নির্মিত হয়েছে ‘কে তাহারে চিনতে পারে’।
কিছুদিনের মধ্যেই সিনেমাটি প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত হবে, ভরসা দিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আখড়া।
চিত্রগ্রাহক পরিচয়ের চেয়েও তিনি খ্যাতিমান ছিলেন আলোকচিত্রী হিসেবে। দেশের বাইরেও তার সে খ্যাতি আছে। তার হাত ধরেই এদেশের তৈরি হয়েছেন অসংখ্য আলোকচিত্রী। আনোয়ার হোসেনের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিগুলো হলো- ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’ (১৯৭৯), ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ (১৯৮০), ‘পুরস্কার’ (১৯৮৩), ‘অন্য জীবন’ (১৯৯৫) ও ‘লালসালু’ (২০০১) প্রভৃতি।