বিশ্বের সর্বাধিক ধনী নারী সংগীতশিল্পীর খেতাব এখন টেইলর সুইফটের দখলে। তার সফল ‘ইরাস ট্যুর’-এর মাধ্যমে তিনি রেকর্ড আয়ের শীর্ষে পৌঁছেছেন, যেখানে রিহানা, ম্যাডোনা এবং বিয়ন্সের মতো ধনবান নারী শিল্পীরাও তার পেছনে পড়েছেন।
ফোর্বসের মতে, সুইফটের সম্পদের পরিমাণ এখন ১.৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের অক্টোবর থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ১.১ বিলিয়ন ডলার।
টেইলর সুইফটের ঠিক পরেই রয়েছেন রিহানা, যার সম্পদের পরিমাণ ১.৪ বিলিয়ন ডলার। যদিও রিহানার এ সম্পদের বড় একটি অংশ সংগীত থেকে নয়, বরং তার বিউটি ব্যবসা থেকে এসেছে।
ম্যাডোনা, যিনি তার বিভিন্ন কনসার্ট ট্যুর থেকে ১.৬ বিলিয়নেরও বেশি আয় করেছেন, এখন বিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে আছেন। মে মাসে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৮৫০ মিলিয়ন ডলার।
বিয়ন্সের সম্পদের পরিমাণ মে মাসে আনুমানিক ৭৬০ মিলিয়ন ডলার ছিল। তার সাম্প্রতিক ‘রেনেসাঁ ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি।
কানাডিয়ান তারকা সেলিন ডিওন আনুমানিক ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক, যার বড় অংশ এসেছে তার ‘লাস ভেগাস কনসার্ট’ থেকে।
ইজিইওটি বিজয়ী গায়িকা-অভিনেত্রী বারবারা স্ট্রেইস্যান্ড, যিনি গত বছর প্রায় হাজার পৃষ্ঠার আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন, তার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৪৬০ মিলিয়ন ডলার।
কান্ট্রি সংগীতের সুপারস্টার ডলি পার্টন ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক, যার বড় অংশ এসেছে টেনেসি পারিবারিক থিম পার্ক ডলিউড এবং তার সংগীত ক্যাটালগ থেকে, যা আনুমানিক ১৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের।
কেটি পেরির সম্পদ আনুমানিক ৩৫০ মিলিয়ন ডলার, যা তার সংগীত ক্যাটালগের ২২৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি এবং ‘আমেরিকান আইডল’-এ বিচারক হিসেবে অর্জিত প্রতি সিজনে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার আয়ের ফলে হয়েছে।
কিভাবে সুইফট তার সম্পদ গড়েছেন
৩৪ বছর বয়সী টেইলর সুইফট ২০২৩ সালে প্রথম সংগীতশিল্পী হিসেবে শুধু গান ও পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, তার সংগীত ক্যাটালগের মূল্য প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার এবং তার ট্যুর ও রয়্যালটি থেকে তিনি আরও ৬০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এছাড়াও তার মালিকানায় প্রায় ১২৫ মিলিয়ন ডলারের রিয়েল এস্টেট রয়েছে। তার সম্পদের এই বিশাল পরিবর্তন এসেছে মূলত চলমান ‘ইরাস ট্যুর’ থেকে, যা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের মার্চে এবং শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে।
ফোর্বসের মতে, ইরাস ট্যুরের প্রথম অংশ থেকে গত বছর ১৯০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন সুইফট।
কিভাবে রিহানা তার সম্পদ গড়েছেন
৩৬ বছরের রিহানা ২০২১ সালে বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন। ফোর্বসের অনুমান অনুযায়ী, মূলত তার ফেন্টি বিউটি কসমেটিকস কোম্পানির শেয়ারের কারণে। তিনি কোম্পানির ৫০% শেয়ারের মালিক, এছাড়াও তার অন্তর্বাস ব্র্যান্ড স্যাভেজ এক্স ফেন্টিতে প্রায় ২৮% শেয়ার রয়েছে। উভয় কোম্পানি গায়িকার নামে নামকরণ করা হয়েছে, যার আসল নাম রবিন ফেন্টি।
২০২৩ সালে ফোর্বস রিহানাকে বিশ্বের ৭৪তম সর্বাধিক প্রভাবশালী নারী হিসেবে স্থান দিয়েছে। তার বাকি সম্পদ এসেছে সংগীত ক্যাটালগ থেকে—তিনি ১৪টি বিলবোর্ড হট ১০০ নাম্বার-এর প্রথম হিট গানের মালিক, যা যে কোনও শিল্পীর মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক, শুধু দ্য বিটলস এবং মারাইয়া কেরির পেছনে তিনি। ২০২৩ সালে তিনি সুপার বোল হাফটাইম শোতে পারফর্ম করেছিলেন, তার সংগীত ক্যারিয়ার থেকে দীর্ঘ বিরতির মধ্যে এটি একটি সংক্ষিপ্ত প্রত্যাবর্তন ছিল।
রিহানা ২০১৬ সালে প্রকাশিত ‘অ্যান্টি’ অ্যালবামের পর থেকে নতুন কোনও অ্যালবাম প্রকাশ করেননি।