দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ-এর ব্যানারে বিপ্লবের দিনগুলোতে রাজপথে প্রচুর খেটেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ভিজেছেন বৃষ্টিতে, শুকিয়েছেন রোদে। এমনকি বিজয়ের পর ‘ডাকাত’ ঠেকাতে বঁটি হাতে রাতে পাহারা দিয়েছেন অভিনেত্রী।
সেসব ছাপিয়ে ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে দেশ। এখনও সরব রয়েছেন বাঁধন। চেষ্টা করছেন সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে। সঙ্গে উদ্যোগ নিচ্ছেন অন্যদেরও সংযোগ ঘটাতে। সেই ধারাবাহিকতায় বাঁধন এবার আহ্বান জানালেন বন্যার্তদের পোশাক সংগ্রহের।
তার ভাষায়, ‘বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়া মানুষগুলোর এখন সবচেয়ে জরুরি শুকনো পোশাক ও খাবারের। আমি মনে করি প্রথমেই জরুরি পোশাক। আমি নিজেই এর মধ্যে ঘর থেকে যা পেরেছি সেগুলো দুর্গতদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু লাখ লাখ বানভাসি মানুষকে বাঁচাতে দরকার আরও লাখ লাখ পোশাক। নতুন কিনতে হবে না, আমি অনুরোধ করছি যার যার ঘরে থাকা অব্যবহৃত পোশাকগুলোও যদি এই দুঃসময়ে দিয়ে দেন, তাতেই হবে।’
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, টাকা, খাবার কিংবা পোশাক বিতরণের ক্ষেত্রেও চলছে বিশৃঙ্খলা। কারণ কেউ কিছু দিতে চাইলেও সেটি দেওয়ার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম পাচ্ছেন না অনেকেই। সেটিও বিবেচনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই নেত্রী। জানিয়েছেন, গুলশান নিকেতনের একটি ঠিকানা ও ফোন নম্বর। সেখানে যার যার পোশাক পৌঁছে দিলেই চলে যাবে বন্যার্তদের হাতে।
ঠিকানাটি ফ্ল্যাট বি৩, হাউজ ১১০, রোড ২, ব্লক এ, নিকেতন, গুলশান ১, ঢাকা ১২১২। এখানে কুরিয়ারে পাঠালেও চলবে বলে জানান অভিনেত্রী। দিয়েছেন ফোন নম্বরও, ১০৭১৩-৬৩৭৫৫৭।
বাঁধনের এই আহ্বানে সাড়া মিলছে প্রচুর। যেটি তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলের মন্তব্যের ঘরে চোখ রাখলেই অনুমেয়। তবে এর মধ্যেও রয়েছে কিছু ব্যতিক্রম প্রতিক্রিয়া। আদ্রিতা রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি যে পোশাক-ব্লাউজ পরেন, ওসব তো কেউ পরতে পারবে না।’