বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। যাকে রাজপথে দেখা গেছে সরকার পতনের ডাকে, পতাকা হাতে বিপ্লবীর বেশে। এই আন্দোলনে তার চেয়ে এতো অগ্রগামী আর কোনও শিল্পীকে পাওয়া যায়নি। ৫ আগস্ট দ্বিতীয় বিজয়ের দিনেও রাজপথে আনন্দ উল্লাসে কোটি জনতার মিছিলে ছিলেন তিনি।
অথচ সেই বাঁধনকে রাজধানীর মিরপুর অঞ্চলে মধ্যরাতে দেখা গেছে ধারালো বঁটি হাতে মারমুখো ভঙ্গিতে! কেন!
বাঁধনের জবাব, ‘বিজয় এসেছে বটে, কিন্তু আরও কিছু দেশদ্রোহী ডাকাত ঘুর ঘুর করছে রাতের অন্ধকারে। তাদের জবাই করতে এই বঁটি হাতে নেমেছি এবার।’
জানান, বুধবার (৭ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাতে মিরপুর অঞ্চলে ডাকাতের আভাস মেলে। এলাকার মসজিদে জারি হয়েছে এলান। ঘরে বসে না থেকে সেই ডাকাতদের প্রতিহত করতে রান্নাঘরের বটি হাতে বেরিয়ে পড়েন বাঁধন। মিরপুর সাড়ে এগারো নম্বরে তিনি প্রায় সারারাত অবস্থান নেন এলাকাবাসীর সঙ্গে। তার দেখায় একই বাড়ির জুঁইও বঁটি হাতে এসে যোগ দেন বাঁধনের সঙ্গে। লাঠি হাতে ডাকাত ঠেকাতে এসময় আরও ছিলেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিনোদন অঙ্গনের শিল্পীদের দুটি দলে বিভক্ত হতে দেখা যায়। একটি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অন্য একটি পক্ষ গিয়েছিলেন বিটিভির ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে। বাঁধন ছিলেন ছাত্রদের পক্ষে রাজপথে।
‘রেহানা মারিয়াম নূর’ সিনেমার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেন বাঁধন। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২১ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগে প্রদর্শিত হয় সিনেমাটি। পরে ভারতীয় নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত হিন্দি ছবি ‘খুফিয়া’য় দেখা গেছে বাঁধনকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আলোচিত ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ সিরিজে অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে হাত দিয়েছেন ‘মেয়েদের গল্প’ নামের একটি সিনেমার। মুক্তির অপেক্ষায় আছে বাঁধন অভিনীত ছবি ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’।