অন্ধকার ও আতঙ্কিত সময় পেরিয়ে আলো কিংবা স্বস্তির দেখা মিলছে ক্রমশ। চুপচাপ স্তব্ধ সময় পেরিয়ে আজ (২৪ জুলাই) থেকে ফের কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে গোটা দেশ। কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে ক্রমশ। বন্ধ থাকা ইন্টারনেটও চালু করা হয়েছে স্বল্প পরিসরে। যার মাধ্যমে সংস্কৃতজনেরা যেন আলো খুঁজে পাচ্ছেন ক্রমশ।
অন্তর্জালহীন কারফিউ সময়ে গত এক সপ্তাহ ঘরবন্দি ছিলেন দেশের দুই শীর্ষ অভিনেতা মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী।
মোশাররফ করিম বলেন, ‘আধুনিক সময়ে এসে দেশের এমন স্থবির অবস্থা একেবারেই কাম্য নয়। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। দেশ আবার আগের মতো সুন্দর ও স্বাভাবিক হবে।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘কারফিউর এই সময়ে সব কাজ বন্ধ। বাসায় বসে বই পড়ে, টিভিতে খবর দেখে সময় কেটেছে।’
এ সময়ে ইন্টারনেট না থাকাটা ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন অভিনেতা। ‘এর একটা ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে। মানুষের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্ভরশীলতা কমে আসছে। জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করা হচ্ছে। অনেকেই বই পড়ায় ফিরে গিয়েছে।’
এদিকে সময়টিকে দুর্যোগময় বলে অবিহিত করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি জানেন, এই সময়টাতে তিনি ঢাকায় নিজ বাসাতেই ছিলেন। তার ভাষায়, ‘এই কয়টা দিন একটা দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে ছিলাম। আমি কেন, পুরো দেশের মানুষই তাই ছিল। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল করোনার লকডাউনের সময়। তখন অবস্থা সোশ্যাল হ্যান্ডেল বন্ধ ছিল না। ফলে এবার তারচেয়েও কঠিন অবস্থায় ছিলাম।’
চঞ্চলের মতে, এখনও দুর্যোগ পুরোপুরি কাটেনি। তবে যত দ্রুত সেটি কেটে যায়, সেটাই সবার জন্য মঙ্গল বলে মনে করছেন অভিনেতা।
তার ভাষায়, ‘দেখুন ইন্টারনেট তো শুধু ফেসবুক আর ইউটিউব দেখার জন্য না। ইন্টারনেট এখন আমাদের যোগাযোগ ও বাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম। অসংখ্য মানুষের রুটি-রুজির বিষয়। এটা এখন আমাদের জীবনযাত্রায় খুবই দরকারি অনুষঙ্গ। ফলে এটা ছাড়া সময়টা খুবই কঠিন। আশা করছি ইন্টারনেটসহ আমাদের জীবনযাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমরা দ্রুত কাজে ফিরতে পারবো।’
এদিকে কোটা আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আজ বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে খুলছে অফিস-আদালত-কারখানা। তবে কারফিউ বহাল রয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে আজ বুধবার এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার কারফিউ বহাল থাকবে। তবে এ দুদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।