‘শিকলবাহা’র কেন্দ্রীয় চরিত্র ফৌজিয়া করিম অণু। ঈদের সকালে (১৭ জুন) যার ঘুম ভেঙেছে চীনের সাংহাই ক্রাউন প্লাজা হোটেলের রিসেপশনের ফোনে। জানতে পারেন, এক গুচ্ছ গোলাপের সাথে একটা মুকুট আর শুভেচ্ছা কার্ড এসেছে তার নামে। যেখানে লেখা আছে, ‘আপনার এক নাম্বার ভক্ত।’
পরবাসে এমন উড়ো উপহার পেয়ে বিমুগ্ধ অণু।
আগেরদিন (১৬ জুন) রাতে সাংহাই ফিল্ম আর্ট সেন্টারে হয়ে গেলো কামার আহমাদ সাইমনের ‘শিকলবাহা’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। এশিয়ার বৃহত্তম চলচ্চিত্র উৎসব সাংহাইয়ের মূল প্রতিযোগিতায় আছে ছবিটি, যার নিমন্ত্রণে পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন ও প্রযোজক সারা আফরীনের সাথে আমন্ত্রিত হয়ে এই মুহূর্তে সাংহাইয়ে আছেন অভিনেত্রী ফৌজিয়া করিম অণু।
চাঁদরাতে প্রিমিয়ার আর ঈদের সকালে গোলাপের তোড়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অণু বলেন, ‘জীবনের প্রথম সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার, তাও সাংহাইয়ের মূল প্রতিযোগিতায়—হলভর্তি দর্শক চাঁদ রাতে। এমনিতেই রাতটা একটা ঘোরের মধ্যে কেটেছে, তারপর ঈদের সকালে এই গোলাপের তোড়া! এর অনুভূতি জানানোর ভাষা নাই আমার।’
প্রিমিয়ার শেষে পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন, প্রযোজক সারা আফরীন এবং অভিনেত্রী ফৌজিয়া করিম অণু দর্শকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। এছাড়াও, তাদের একটি প্রেস কনফারেন্সে অংশ নেবার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ১০৫টি দেশ থেকে ৩৭০০টিরও বেশি ছবির মধ্যে বাছাই করা মাত্র ১৪টা ছবির মধ্যে সাংহাইয়ের ‘গোল্ডেন গবলেট’-এর মূল প্রতিযোগিতায় নমিনেশন পেয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘শিকলবাহা’। এর আগে গত শনিবার মূল প্রতিযোগিতার কুশলী হিসেবে চীনের প্রাচীনতম এই ইভেন্টের লালগালিচায় হেঁটেছেন কামার, সারা ও অনু।
ইউরোপের অন্যতম সম্মানিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা জার্মানির উইডেম্যান ব্রোস এবং বাংলাদেশের স্টুডিও বিগিং-এর যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি ‘শিকলবাহা’। ২০১৪ সালে কানের ‘লা ফ্যাব্রিক সিনেমা দ্যু মুন্দে’ নির্বাচিত দশটির মধ্যে ছিলো এই ছবির স্ক্রিপ্ট, তখন এর নাম ছিলো ‘শঙ্খধ্বনি’।
বলা দরকার, এই ছবির জন্যই পর পর দুই বছর বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক প্রেস্টিজ গ্রান্ট ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কামার। এছাড়াও গোটেবার্গ চলচ্চিত্র উৎসবের স্ক্রিপ্ট গ্রান্ট এবং জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিলো ‘শিকলবাহা’।