কান চলচ্চিত্র উৎসব-সিনেমা ঘিরে বিশ্বের অন্যতম বড় ও সম্মানজনক আয়োজন। ফ্রান্সের উপকূলীয় শহর কানে প্রতি বছর বসে এর নতুন আসর। যেখানে হাজির হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার দর্শক, তারকা, নির্মাতা-কুশলীরা। এবার বাংলাদেশ থেকে কানে গেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। তবে কোনও সিনেমার সুবাদে নয়, নিজের উদ্যোগেই তিনি কান সৈকতে পা রেখেছেন।
বিষয়টি নিয়ে নানা কথা হচ্ছে ঢাকার শোবিজ পাড়ায়। কেউ তার একলা চলো রে উদ্যমে আনন্দিত; আবার কেউ তুলছেন নেতিবাচক প্রশ্ন। সেসব প্রসঙ্গ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের আর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট এডিটর মাহমুদ মানজুরের (তিনিও রয়েছেন কান উৎসবে) সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন ভাবনা।
কানে আসার কারণ জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘যে কোনও অভিনেত্রী, নির্মাতা, লেখক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। কেউ না-ও চাইতে পারে। একেকজনের একেকরকম ইচ্ছা। আমার এবার ইচ্ছে হয়েছে আসতে, তাই এসেছি। আগামীকাল লুমিয়ের থিয়েটারে মুভি দেখব, এটা তো স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। এত এত মানুষের সঙ্গে ছবি দেখছি। মজার ব্যাপার হলো, এখানে যাদের সঙ্গে ছবি দেখছি, তারা কেউ নির্মাতা, কেউ অভিনয়শিল্পী, কেউ রাইটার; সবাই সিনেমা সংশ্লিষ্ট মানুষ। বিশ্বের সব জায়গা থেকে এসেছেন। তো এটা একটা দুর্দান্ত ব্যাপার না? আর শুধু কান কেন, বিশ্বের যে কোনও ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেই আমরা যেতে পারি। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। এমন না যে, এখানে শুধু সিনেমা নিয়েই আসতে হবে! আর কান তো আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে; অন্যদের কথা ভেবে কী হবে।’
ভাবনা জানান, এরকম আয়োজনে এলে চিন্তা-দর্শনে অনেক পরিবর্তন আসে। তার ভাষ্য, ‘ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এসে আমার চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন হবে। এখানে তো আমাকে কেউ চেনে না। তো নিজেকে এই ছোট অনুভব করাটাও দরকার। এটা ভাবলে আরও উন্নতি করা যায়। এবার উৎসবের অভিজ্ঞতা নিলাম; আগামীতে হয়ত নিজের সিনেমা নিয়ে এখানে আসবো। আবার না-ও আসতে পারি। কিছু যায় আসে না তো!’
সমালোচনা প্রসঙ্গে ভাবনার সাফ জবাব, ‘আমি নেগেটিভ মানুষ না, নেগেটিভ প্রশ্নও আমার সামনে আসতে দেই না। এগুলো যারা বলছে, তা হয়ত ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে জানে না। ফেস্টিভ্যালে অফিসিয়াল সিলেকশন ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ আসে। সিনেমা থাকতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। জয়া আহসান যখন এসেছিলেন, তখন তাকে দেখে আমি প্রাউড ফিল করেছিলাম। তিনি তো সিনেমা নিয়ে আসেননি। অন্যান্য দেশের অভিনয়শিল্পীরাও আসছেন, ঘুরছেন এখানে। একে-অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। আসলে নিজের অভিজ্ঞতার জন্যই আসা।’
পুরো সাক্ষাৎকারটি রয়েছে এখানে: