X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

অনেকেই বলতো, আবৃত্তির মূলধারাকে নষ্ট করছি: কবিতা কানেকশন

মাজহারুল হক লিপু, মাগুরা
০৫ নভেম্বর ২০১৯, ২০:০৩আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ২১:২০

কবিতা কানেকশন বাংলা কবিতাকে সবশ্রেণীর মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায় কলকাতার ভিন্ন ধারার ব্যান্ড ‘কবিতা কানেকশন’। সম্প্রতি বাংলাদেশের আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠবীথির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাগুরায় এসেছিলো এই ব্যান্ডের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের পর তাদের সঙ্গে একান্ত আলাপ হয় বাংলা ট্রিবিউন-এর মাগুরা প্রতিনিধির সঙ্গে।
দলটির প্রধান ও আবৃত্তিশিল্পী পলাশ দাস বলেন, ‘ছেলেবেলা থেকেই আবৃত্তির সাথে জড়িত আমি। একক আবৃত্তিকার হিসেবে আবৃত্তিও করেছি ভারতের বিভিন্ন স্থানে। পাঁচ বছর আগে মনে হলো আবৃত্তিকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পরিবেশন করলে কেমন হয়। দীপময় তখনও গান নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়েনি। ওকে বললাম গান, আবৃত্তি আর মিউজিকের একটা কম্বিনেশন করলে কেমন হয়। দেখলাম এতে তারও বেশ আগ্রহ। কী নাম দেওয়া যায় ভাবতে বেগ পেতে হয়নি। যেহেতু কবিতাই আমাদের মূল মাধ্যম তাই নাম রাখলাম- কবিতা কানেকশন।’
পলাশ দাস আরও বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছি কাজটি করে। সবাই বেশ ভালোভাবে নিয়েছে আমাদের নিরীক্ষাকে। প্রথমে অনেকেই বলত, আবৃত্তির মূলধারাকে নষ্ট করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের অনুষ্ঠান দেখে সবাই বুঝেছে- এটি শুধু আবৃত্তি নয়, গানও নয়, গান আর কবিতার একটি মিশ্রণ। ঢাকায় আমাদের একটা অনুষ্ঠান দেখে বাংলাদেশের প্রবীণ আবৃত্তিশিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক আশরাফুল আলম বলেছিলেন, তোমাদের নাম হতে পারত মিশ্রিতা। তবে যাই করিনা কেন বাংলা কবিতাই আমাদের মূল ভাবনা।’
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আবৃত্তির মূল পার্থক্যটা কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে পলাশ বলেন, ‘বাংলাদেশের আবৃত্তি চর্চা মূলত সাংগঠনিক। এখানে অসংখ্য আবৃত্তি সংগঠন রয়েছে। প্রচুর ছেলেমেয়ে কাজ করছে। দেখলেও ভালো লাগে। এই যে মাগুরার মতো ছোট শহরে কণ্ঠবীথি কাজ করছে। দেখে ভালো লাগলো তাদের প্রায় একশর বেশি সদস্য। কিন্তু আমাদের আবৃত্তি চর্চা একেবারেই গুরুমুখী। প্রত্যেকেই একক চর্চা করে। মূল পার্থক্য হচ্ছে এখানে সাংগঠনিক চর্চার কারণে আবৃত্তিশিল্পীদের মধ্যে চেতনার জায়গাটি খুব স্পষ্ট। সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আবৃত্তিকর্মীরা ভূমিকা রাখছে এখানে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের আবৃত্তিশিল্পীরা এটাকে পেশাদারি শিল্পে রূপ দিতে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তবে দুটোরই প্রয়োজন আছে।’
এদিকে ব্যান্ডের গায়ক দীপময় এখন কলকাতায় তরুণ সংগীতশিল্পী  হিসেবে বেশ পরিচিত। তিনি সংগীতশিল্পী হয়েও কেন কবিতা কানেকশন-এ যুক্ত আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘আমার সংগীতজীবন একটি আলাদা স্বত্বা। তারমধ্যেও কবিতা নিয়ে কাজ করি। এখানে প্রতিটা কবিতার সাথে আবহ মিলিয়ে একটি বা আংশিক গান করা হয়। এটি নিয়ে আমরা অনেক চিন্তা ও চর্চা করি। কবিতা কানেকশনে কাজ করি একেবারে অন্তর থেকে। বাংলা, বাংলা গান ও কবিতার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। আমার মনে হয় আমরা এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারছি।’
বাংলাদেশে কবিতা কানেকশন-এর তৃতীয় সফর এটি। কেমন লাগছে জানতে চাইলে সবাই একযোগে বলে উঠলেন, ‘দারুণ’। পলাশ দাস যোগ করলেন এভাবে, ‘এই বাংলায় এলেই বোঝা যায় বাঙালি একটি আলাদা জাতি। আর এখানকার আতিথেয়তার তুলনা হয় না। বারবার আসতে ইচ্ছা হয়।’
কবিতা কানেকশন-এর একটি প্রযোজনা:

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কয়েদির পোশাকে সিনেমা হলে শতাধিক ভক্ত!
কয়েদির পোশাকে সিনেমা হলে শতাধিক ভক্ত!
বিয়ে ‘বিতর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন শাবানা!
বিয়ে ‘বিতর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন শাবানা!
ছোটবেলা থেকেই আমি সিয়ামের ফ্যান: নৈঋতা
ছোটবেলা থেকেই আমি সিয়ামের ফ্যান: নৈঋতা
১৯ পদে লড়ছেন ৩৮ জন অভিনয়শিল্পী
১৯ পদে লড়ছেন ৩৮ জন অভিনয়শিল্পী
এবার যুক্তরাষ্ট্রে ‘দাগি’
এবার যুক্তরাষ্ট্রে ‘দাগি’