X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি

বাজেটের তিন ভাগ গবেষণার জন্য থাকতে হবে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জুলাই ২০২৪, ২২:২২আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪, ১০:১৭

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিএইচডির অনুমতি পেতে হলে গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের তিন শতাংশ ফান্ড থাকতে হবে। এছাড়া শিক্ষক সংকট নিরসন, যোগ্য সুপারভাইজরসহ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারলেই পিএইচডির অনুমতি মিলবে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির নীতিমালা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া,  ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুর রব খান।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বাংলা ট্রিবিউনের নগর সম্পাদক উদিসা ইসলাম।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, আগে অনেক ডিগ্রি নিয়ে কঠিন অভিযোগ এসেছে। তাই পিএইচডি নীতিমালার ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়ে একটা ফ্রেমওয়ার্ক থাকা দরকার আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ইউজিসি এখন একটি নীতিমালা করছে, যেকোনও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান নীতিমালা তৈরি করতে গেলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যে বেশি কড়াকড়ি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মৌলিক চরিত্র, তার যে একটা স্বাধীনতা আছে, সেটিতে হস্তক্ষেপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান বলেছেন, পিএইচডি’র জন্য ইউজিসি’র গাইডলাইন অত্যন্ত জরুরি।

অধ্যাপক শামস রহমান আরও বলেন, ‘একটি বিষয় এখানে দেখা জরুরি যে আজকে ৩০ বছর হয়ে গেলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে। যে যার মতো সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু গাইডলাইন ইউজিসি’র আছে, কিছু নিয়ন্ত্রণ মেকানিজম আছে। কিন্তু কারা কী প্রোগ্রাম করবে কী না করবে, এটা নিজেরাই ঠিক করেছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আজকে ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমরা জানি কোন বিশ্ববিদ্যালয় কী অবস্থায় আছে।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া বলেছেন, আন্ডার-গ্র্যাজুয়েটে তো আমরা খারাপ করছি না। আমাদের ছেলেমেয়েরাও দেশের বাইরে যাচ্ছে পিএইচডি করতে। সুতরাং কোয়ালিটির ভয় পেলে হবে না। আমাকে মাঠে নামতে হবে, সঙ্গে থাকতে হবে প্রস্তুতি।’

অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া আরও বলেন, ‘ইউজিসি মোটামুটি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি চালু করার সুযোগ দেবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোয়ালিটি কি শুধু পিএইচডি’র ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? কোয়ালিটি নিশ্চিত করা নিয়ে আমরা একসময় ভয় পেতাম। ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিংয়ে আমাদের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেলো, তার মধ্যে তার মধ্যে বেশিরভাগই বেসরকারি।’

সেমিনারে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান বলেন, ‘আমাদের সুনাম ধরে রাখা একটি প্রশ্ন। আমরা যদি কোনও ডিপার্টমেন্টকে পিএইচডি প্রোগ্রাম দেই, সেখানে যদি মানসম্পন্ন সুপারভাইজর এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকে, তাহলে তো আমাদেরই ক্ষতি হবে। সুতরাং, আমরা নিজেরাই যাচাই করবো যে কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে আমরা পিএইচডি দেবো কি দেবো না। না হলে তো আমাদের সুনাম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউজিসি যে গাইডলাইন তৈরি করছে, সেখানেই নির্দেশনা থাকবে। সেই গাইডলাইন নির্ধারণ করবে কার সামর্থ্য আছে আর কার নেই। যারা নতুন তাদের একটু সময় লাগবে শুরু করতে। তবে গাইডলাইন থাকলে তারা বুঝতে পারবে যে কী কী করা দরকার তাদের।’

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি চালু করতে পারবে কী পারবে না যখন প্রশ্ন উঠেছে, তার আগেই কিন্তু গুণগত শিক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে আমাদের গুণগত শিক্ষার প্রক্রিয়া যে চলমান এবং এই শিক্ষা প্রক্রিয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন বিভাগে যে আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স লেভেলে যে প্রোগ্রামগুলো পরিচালনা করছি, তার জন্য বেশ কিছু শর্ত পূরণ করছি। এই শর্ত পূরণের মাধ্যমেই একরকম নীরবেই বেশ কিছু প্রস্তুতি হয়েই আছে।’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুর রব খান বলেছেন—আমি মনে করি মান নির্ধারণের জন্য একটা বডি দরকার আছে। নতুবা ঢালাওভাবে সবাই যদি শুরু করে… সেখানে দেখা যাবে একটার পর একটা… কাজেই কোয়ালিটি স্ক্রিনিংয়ের জন্য আমাদের যে বডি আছে— বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক (বিএনকিউএফ) এবং ইউজিসি’র ওপর আমাদের নির্ভর করতেই হবে। 

আরও পড়ুন:

কোয়ালিটি নিয়ে ভয় পেলে হবে না:  অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়া

পিএইচডি চালু হলে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও সুপারভিশন সম্ভব হবে: অধ্যাপক ড. আবদুর রব খান

পিএইচডি নীতিমালায় প্রতারণা বিষয়ে ফ্রেমওয়ার্ক থাকা দরকার: অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান 

পিএইচডি’র জন্য ইউজিসির গাইডলাইন খুবই জরুরি: অধ্যাপক শামস রহমান

পিএইচডি চালুতে সবার সামর্থ্য এক না: অধ্যাপক ইমরান রহমান

পিএইচডি’র জন্য গুণগত শিক্ষার প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আছে: ড. কামরুল আহসান

/এসও/এসএমএ/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
শিশুর নিরাপত্তায় ইউনিসেফের জোরালো ভূমিকা চায় ইউজিসি
ভারতীয়রা আমাদের বিরুদ্ধে যে প্রচারণা করছে সেগুলো খামোখা: সলিমুল্লাহ খান
সর্বশেষ খবর
যশোরে দুপুরে আ.লীগ নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, সন্ধ্যায় ঝটিকা মিছিল
যশোরে দুপুরে আ.লীগ নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, সন্ধ্যায় ঝটিকা মিছিল
‘৫ বছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে খরচ ২৩০০ কোটি টাকা, ৭০০ কোটিতে নামানো সম্ভব’
‘৫ বছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে খরচ ২৩০০ কোটি টাকা, ৭০০ কোটিতে নামানো সম্ভব’
গুলশানকে হারিয়ে আরও এগিয়ে গেলো আবাহনী
গুলশানকে হারিয়ে আরও এগিয়ে গেলো আবাহনী
নেপালে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি
নেপালে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি
সর্বাধিক পঠিত
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
যেসব পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়ালো রিজার্ভ
যেসব পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়ালো রিজার্ভ
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ বিব্রতকর: পুলিশ সুপার
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ বিব্রতকর: পুলিশ সুপার
বাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
বাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
প্রথম আলোর নিউজটি দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া, বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
প্রথম আলোর নিউজটি দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া, বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ