এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৪১৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪১১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার মধ্যে পাস করেছে ২৪০১ জন। পাসের হার ৯৯.৫৯ শতাংশ। পাসের হারে সন্তুষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পরীক্ষার্থীরা।
রবিবার (১২ মে) স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এমাম হোসাইন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ এমাম হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ২৪১৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪১১ জন পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল। পাস করেছে ২৪০১ জন। পাসের হার ৯৯.৫৯ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৯৫৬ জন। আমাদের এখানে ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ও এ প্লাস প্রাপ্তদের সংখ্যা বেশি। আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদেশে চলে গিয়েছে। আবার কয়েকজন অসুস্থ ছিল। অনেকে ঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেনি। সব পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলে ভালোই হতো। তবুও আমরা এবারের ফলে সন্তুষ্ট। পরবর্তী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পাসের হার আরও বৃদ্ধির জন্য কাজ করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতন থাকি। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও বিভিন্ন কাজে নম্বর দেওয়ার মাধ্যমে ব্যস্ত রাখি। তাই বছরের শেষে গিয়ে তাদের পড়াশোনায় চাপ থাকে না। আশা করি পরের বছরের পরীক্ষার্থীরা আরও ভালো ফল করবে।’
এদিকে স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, ফল ঘোষণার পর পরীক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। অনেক পরীক্ষার্থীর বাবা-মায়েরা সন্তানদের এমন অর্জনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তামান্না তাহমিনা খান নামে এক শিক্ষার্থী বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, ‘আমি গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এই সফলতার জন্য বাবা-মা-শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সারা বছর যখন প্রয়োজন মনে করেছি তখনই আমি পড়াশোনা করেছি। অনেক পরিশ্রম করেছি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখি। নতুনদের ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো, প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়তে হবে, নয়তো পরীক্ষার সময় অনেক চাপ মনে হবে।’
আরেক পরীক্ষার্থী মো. রাকিবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলে, ‘আমি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছি। আমার এই সফলতার জন্য প্রথমে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা আমার মা-বাবার প্রতি, যারা আমাকে বিগত দশ বছর গাইড করে পড়াশোনা করিয়েছেন। আমাদের শিক্ষকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান আমাদের যোগ্য করে এসএসসি পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। নিজেও অনেক পরিশ্রম করেছি। এখন আমি পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষায় নজর দিতে চাই।’
মা ও ছোট বোনকে নিয়ে ফল দেখতে আসা আরেক শিক্ষার্থী মেহজাবীন বিনতে মোমিন জানায়, ‘মূলত আমার মা এই সফলতর পেছনে অনেক পরিশ্রম করেছেন। তিনি অসুস্থ থেকেও আমার পড়াশোনার জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন। আমার শিক্ষকরা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাহস দিয়েছেন। বাবাও অনেক গাইড করেছেন। শিক্ষকদের সাপোর্ট তো রয়েছেই। আমার নিজের ও পরিবারের জন্যই এই পরিশ্রম করেছি। আমি আরও পড়াশোনা করতে চাই। আমার ইচ্ছা বিদেশে স্থায়ী হওয়ার। বিদেশে যেতে পারলে বাবা-মাকেও নিয়ে যাবো। আর নতুনদের জন্য পরামর্শ থাকবে পড়াশোনার জন্য সময় ব্যয় করো।’