সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হলে ওই চিকিৎসককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন আরেকজন। তখন ওই চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি দিয়ে বসেন রোগীর স্বজনকে।
এমন একটি ভিডিও রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে। রবিবার দুপুরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিচতলার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, রবিবারের এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
জানা গেছে, হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে জুবায়ের আহমদ (২২) নামের এক রোগীকে নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। সুনামগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জের কলাগাঁও এলাকার বাসিন্দা জুবায়ের শুক্রবার থেকে পেটের নিচে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। রবিবার দুপুরে জুবায়েরের পাশে তার বন্ধু মিজান আহমদ (২২) ছিলেন। মিজানের সঙ্গেই তন্ময় দেবনাথ নামের ওই চিকিৎসকের বাগবিতণ্ডা এবং লাথি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, তন্ময় দেবনাথ নামের ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর ‘ফেজ-বি’–এর আবাসিক শিক্ষার্থী। রোগীর স্বজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কোনও কথার জেরে মেজাজ হারিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুবায়েরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিজান আহমদ ওই চিকিৎসককে ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। পরে মিজানকে ডেকে নিয়ে ব্যবহার ঠিক করার কথা বলেছেন ওই চিকিৎসক। একপর্যায়ে চিকিৎসকের সঙ্গে মিজানের বাগবিতণ্ডা হয়। এতে ওই চিকিৎসক তাকে লাথি দিয়েছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ওই চিকিৎসককে আপাতত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’