সিলেটের বালাগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ছয় জনের যাবজ্জীবন ও একজনকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন পাঁচ জন। রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ জুলাই ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে ১ জুলাই থেকে মামলার বিচার শুরু হয়। রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্তকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বালাগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে মাহমুদ আলী ওরফে কাছা (৪৫), একই এলাকার মৃত তৌফিক মিয়ার ছেলে ছাবের আহমদ (২৪), তার ভাই জুবের আহমদ (২৬), মৃত রফিক মিয়ার ছেলে আফিক মিয়া (৩০), আখলিছের ছেলে সুহেল ও মৃত লালা মিয়ার ছেলে শামীম চৌধুরী (৩৫) এবং এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ইন্তাজ (৪০) একই গ্রামের মৃত গণির ছেলে। রায় ঘোষণার সময় মাহমুদ আলী আদালতে হাজির থাকলেও অপর ছয় আসামি পলাতক।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ১২ মে দুপুরে জামালপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৫) জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে আসামিরা ফখরুলের ওপর হামলা চালান। সেইসঙ্গে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আসামিরা কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামিরা চলে গেলে স্থানীয়রা ফখরুলকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বালাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কবির হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর পর ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে ছয় জনের যাবজ্জীবন ও একজনকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাঁচ জন।’