সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর (এসপির বাংলোর সামনে) এলাকার একটি বাসার মেঝে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গৃহপরিচারিকা ঘরের ভেতর তাদের লাশ দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে।
নিহত দুজন হলেন ফরিদা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)। এ ঘটনায় পলাতক আছেন ফরিদা বেগমের খালাতো বোন নার্গিসের দুই ছেলে ফাহমিদ ও ফয়সাল আহমদ (৩০)।
ফরিদা বেগমের বোন একই মহল্লার বাসিন্দা সুফিয়া আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাত ১০টার পরও ফরিদা বেগমের সঙ্গে ফোনে তার কথা হয়েছে। তিনি ফোনের চার্জার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন। তখন বাসায় মিনহাজুলও ছিলেন। সকালে তারা অসুস্থ খবর পেয়ে গিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে দেখতে পান। নার্গিসের দুই ছেলেকেই পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিবেশী ও নিহতদের স্বজনরা জানান, চার বছর আগে ফরিদা বেগমের স্বামী জাহেদুল ইসলাম মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী স্বামীর কাছে থাকেন। বাসায় থাকতেন ফরিদা বেগম ও তার কলেজপড়ুয়া ছেলে মিনহাজুল ইসলাম। কিছুদিন ফরিদার খালাতো বোন নার্গিস ও তার মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলে ফাহমিদ এই বাসায় থাকতেন। তিন দিন আগে ঢাকা থেকে বাসায় আসেন নার্গিসের বড় ছেলে ফয়সাল।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে ফয়সাল ও ফাহমিদকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মা নার্গিস বেগমকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। বাসায় ফয়সাল ও ফাহমিদ নামে নিহতদের দুই আত্মীয় ছিলেন। তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। ফয়সাল মাদকাসক্ত ছিলেন। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পিবিআইয়ের একটি দলও আসছে। তারাও তদন্ত করবে।’